‘রাষ্ট্রপত্নী’ বিতর্কে ক্ষমা চাইলেন অধীর, চিঠি দ্রৌপদী মুর্মুকে

‘রাষ্ট্রপত্নী’ বিতর্কে ক্ষমা চাইলেন অধীর, চিঠি দ্রৌপদী মুর্মুকে

নয়াদিল্লি: দেশের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে সম্বোধন করেন তিনি। যদিও তিনি দাবি করেছিলেন যে এটি তিনি ভুল করে বলে ফেলেছেন, কার্যত মুখ ফসকে বেরিয়ে গিয়েছে তাঁর। কিন্তু বিতর্ক ব্যাপকভাবেই বৃদ্ধি পেয়েছিল এই ইস্যুতে। বিজেপি ভীষণ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিল। কিন্তু অধীর বলেছিলেন তিনি ক্ষমা চাইলে সরাসরি রাষ্ট্রপতির কাছেই চাইবেন, আর অন্য কারোর কাছে নয়। অবশেষে ক্ষমা চাইলেন তিনি।

আরও পড়ুন: প্রায় ৬ লক্ষ আধার নম্বর বাতিল! আপনারটা হল না তো

এদিন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ”আমি অত্যন্ত দুঃখিত কারণ আপনি যে পদে আছেন তাকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আমি ভুল করে একটি শব্দ ব্যবহার করে ফেলেছি। আমি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি যে এটি স্লিপ অফ টাং। আমি ক্ষমাপ্রার্থী এবং চাইব আপনি আমার ক্ষমা মঞ্জুর করুন।” যদিও আগে টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে অধীর জানিয়েছিলেন, দেশের রাষ্ট্রপতি, তিনি ব্রাহ্মণ হোক কিংবা জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত। রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতিই হয়। তাকে তাঁর পদের জন্য সর্বদা সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হয়। তবে তাঁর মুখ থেকে ভুলবশত ‘রাষ্ট্রপত্নী’ শব্দটি বেরিয়ে যায়। এটা হয়েছে কারণ বিগত কয়েকদিন ধরে গোটা দেশজুড়ে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন নতুন রাষ্ট্রপতি। আর তাই এই শব্দটি ভুল করে ব্যবহার করে ফেলেন তিনি। বলতে পারেন মুখ ফসকে বেরিয়ে যায়।

অধীর রঞ্জন চৌধুরীর এই মন্তব্যকে সামনে রেখেই বৃহস্পতিবার কংগ্রেস তথা কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে একের পর এক জোরালো আক্রমণ করেছেন বিজেপি সাংসদরা। কেন্দ্রীয় নেত্রী স্মৃতি ইরানি সোনিয়া গান্ধীকে আক্রমণ করেন। বলেন, সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশেই এমন কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে সাংসদ হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে যারা দ্রৌপদী মুর্মুকে অপমান করে রাষ্ট্রপত্নী বলছেন। সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বেই কংগ্রেস নেতা নেত্রীরা সাংবিধানিক সর্বাধিনায়ককে অপমান করার সাহস দেখাচ্ছেন। কংগ্রেস দল দেশের প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত রাষ্ট্রপতিকে সর্বসমক্ষে অপমান করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *