‘এসব যত করবে, জেদ বাড়বে’, ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে বললেন অভিষেক

‘এসব যত করবে, জেদ বাড়বে’, ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে বললেন অভিষেক

নয়াদিল্লি: কয়লা পাচার-কাণ্ডে আর্থিক তছরূপ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। আগের বারের মতো এবারেই প্রায় আট ঘণ্টার ওপর জিজ্ঞাসাবাদ করা হল তাঁকে। তবে ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক সেই কথাই বললেন যা আগের বার বলেছিলেন। তাঁর বক্তব্য, ১০ পয়সার অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে ইডি, সিবিআই লাগবে না, তিনি নিজে ফাঁসি মঞ্চে উঠে মৃত্যুবরণ করবেন। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব যত হবে তত বেশি তাঁর জেদ বাড়বে।

আরও পড়ুন- স্বামী উভকামী! প্রতি রাতে বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বিছানায় চলত স্ত্রীর উপর যৌন নির্যাতন

ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য ছিল, সবাই এক নয়। তাঁর আর অন্যের মানসিকতায় তফাৎ আছে। এইভাবে ইডি, সিবিআই দেখিয়ে তাঁকে দমানো বা ভয় দেখানো যাবে না। তাঁর কথায় তিনি অন্য মেটেরিয়াল। অভিষেক আরও বলেন, যারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য এইসব সংস্থাকে কাজে লাগাচ্ছে তারা কোনও দিন সুবিধা পাবে না। তিনি তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন কারণ তারা তাদের কাজ করছেন, তাদের কোনও দোষ নেই এতে। কিন্তু তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে বলেই দাবি করেছেন তৃণমূল সাংসদ। পাশাপাশি এই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সারদা, নারদা কেলেঙ্কারির কথা বলেন তিনি। বক্তব্য, যাদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণও আছে, তাদের ডাকা হয় না। কারণ তারা বিজেপি হয়ে গিয়েছে। এদিকে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের এইভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে।

এই ইডির তলবকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক৷ তাঁর আর্জি ছিল, ইডির অফিসাররা যেন কলকাতাতেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন৷ কিন্তু গত ১১ মার্চ অভিষেকের আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট৷ তারপর রবিবার তলবের একদিন আগেই দিল্লি পৌঁছন সস্ত্রীক অভিষেক। এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লিতে ইডির তলবে হাজিরা দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। তখন তাঁকে প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। কিন্তু ইডি জানিয়েছে, সেই সময় অভিষেকের কাছ থেকে সব তথ্য পাননি তারা, বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তবে এখন কিছু নতুন তথ্য ও প্রমাণ তদন্তকারীদের হাতে এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 4 =