স্বামী উভকামী! প্রতি রাতে বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বিছানায় চলত স্ত্রীর উপর যৌন নির্যাতন

স্বামী উভকামী! প্রতি রাতে বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বিছানায় চলত স্ত্রীর উপর যৌন নির্যাতন

কলকাতা:  আট মাস আগে ঘটা করে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। সম্বন্ধ করে বিয়ে। তাই একে অপরকে চেনার সুযোগ তেমন হয়নি। বিয়ের পর স্ত্রী জানতে পারেন স্বামী উভকামী। পুরুষ প্রেমিককে ভাই পরিচয়ে রেখেছিলেন নিজের বাড়িতেই। তার পর স্ত্রীর ঘরে ঢুকিয়ে দিতেন সেই বন্ধুকেই৷ পুরুষ প্রেমিকের সঙ্গে সহবাসে বাধ্য করতেন স্ত্রীকে৷ এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন খোদ স্ত্রী৷ প্রাথমিক শিক্ষক স্বামীর এই কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতে চক্ষু চড়কগাছ ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারতালুকের বাসিন্দাদের। সুবিচার চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ নির্যাতিতা৷ 

আরও পড়ুন- কোভিড গ্রাফ আজ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে দেশে, কমল সক্রিয় রোগী

স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতেই শিক্ষক স্বামীর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ৷ নির্যাতিতা জানান, স্বামীর বন্ধুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে অস্বীকার করায় তাঁর উপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত স্বামীর নাম ধনঞ্জয় দাস৷ ধৃতের নাম শুভঙ্কর জানা৷ তিনি স্থানীয় ধনবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দা  হলেও থাকতেন ধনঞ্জয়ের বাড়িতেই৷ ধনঞ্জয় পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক৷ বছর ৩০ এর নির্যাতিতা মহিলা ফলতার বাসিন্দা৷ মাত্র ৮ মাস আগেই সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় তাঁদের৷

অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় স্বামী ও তাঁর পুরুষ প্রেমিকের যৌন অত্যাচার৷ স্বামী ও তাঁর প্রেমিক এক সঙ্গে ওই মহিলার উপর যৌন নির্যাতন চালাতেন৷  বিছানায় স্ত্রীকে মধ্যিখানে রেখে দুই পাশে শুতেন স্বামী ও তাঁর পুরুষ প্রেমিক৷ দিনের পর দিন এভাবে রাত কাটাতে হয়েছে তাঁকে৷ অভিযোগ, শুভঙ্করের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রতিদিন তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন ধনঞ্জয়৷ এই অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে কোনও ভাবে বাপের বাড়ি পালিয়ে আসেন নির্যাতিতা৷ 

বাপের বাড়ি ফেরার পরেই নির্যাতিতা ভূষণা মহিলা সমিতিতে অভিযোগ জানান৷ বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবার থানায় অভিযুক্ত স্বামী ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, বধূ নির্যাতন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে। নির্যাতিতার পাশে দাঁড়িয়েছেন মহিলা সমিতির সম্পাদক রামিয়া সিপাই এবং ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি অরুময় গায়েন৷ নির্যাতিতা বলেন, “বিয়ের আগে কিছুই বুঝতে পারিনি। বিয়ের পর থেকে দেখতাম রোজ এক খাটে ওকে নিয়ে শুত আমার স্বামী। আমাকেও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য জোর করত। এমন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হব, কোনও দিনও ভাবতে পারিনি।” অন্যদিকে, স্বামীর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন৷ টাকা পয়সার ভাগ চাইত৷ না দেওয়ায় মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে৷