পাটনা: স্কুল ইউনিফর্মের জন্য টাকা আসে সরকারের ঘর থেকে৷ সেই টাকা ঢুকেছে কিনা জানতে ব্যাঙ্কে গিয়েছিল দুই ছাত্র৷ কিন্তু পাস বই আপডেট করতেই তাদের চক্ষু চড়কগাছ৷ তারা দেখে, একজনকে অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ৬০ কোটি টাকা৷ অন্যজনের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ৯০০ কোটি! এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়৷
আরও পড়ুন- টেলিকমে ১০০% প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ! ঘোষণা কেন্দ্রের
বিহারের কাটিহার জেলার বাগাউরা পঞ্চায়েতের পাসতিয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই দুই পড়ুয়ার নাম গুরুচন্দ্র বিশ্বাস এবং অসিত কুমার। স্কুল ড্রেসের টাকা ঢুকেছে কিনা জানতে স্টেট ব্যাঙ্কের স্থানীয় সেন্ট্রালাইজড প্রসেসিং সেন্টার (সিপিসি)-তে গিয়েছিল তারা৷ গুরুচন্দ্র ও অসিতের অ্যাকাউন্ট রয়েছে উত্তর বিহার গ্রামীণ ব্যাঙ্কে৷ এদিকে বিষয়টি নজরে আসতেই ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মনোজ গুপ্তা তড়িঘড়ি টাকা তোলার ব্যবস্থা বন্ধ করে দেন৷ কী ভাবে ওই দুই ছাত্রের অ্যাকাউন্টে এই বিপুল পরিমাণ টাকা এল সে বিষয়েও খোঁজ খবর শুরু হয়েছে৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুলস্থূল পড়ে গিয়েছে কাটিহারে৷
তবে এমন ঘটনা প্রথম নয়৷ দিন দুই আগে খাগাড়িয়া জেলার এক শিক্ষকের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল ৫ লক্ষ টাকা৷ কিন্তু সমস্যাটা বাধে যখন রঞ্জিত দাস নামে ওই শিক্ষক টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন৷ শুধু তাই নয়, তিনি এর থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৭০ টাকা খরচও করে ফেলেন৷ এই বিষয়ে পুলিশে নালিশ জানানোর পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়৷ জানা গিয়েছে ব্যাঙ্কের প্রযুক্তিগত ত্রুটির জেরেই তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছিল৷