হাসপাতালের অক্সিজেন বন্ধের ‘মকড্রিল’, মৃত ২২ করোনা আক্রান্ত রোগী

হাসপাতালের অক্সিজেন বন্ধের ‘মকড্রিল’, মৃত ২২ করোনা আক্রান্ত রোগী

আগ্রা: কারা প্রাণে বাঁচবে আর কারা মারা যাবে, তা দেখতেই মক ড্রিল চালিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ ৫ মিনিটের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল অক্সিজেন৷ এর পরেই অক্সিজেনের অভাবে ছটফট করতে করতে প্রাণ হারান ২২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী৷ এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে আগ্রার একটি বেসরকারি হাসপাতালে৷ এই ঘটনার তোলপাড় যোগী রাজ্য৷ যদিও এই ঘটনা অস্বীকার করেছে প্রশাসন৷ 

আরও পড়ুন- রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম কোভিসিল্ড ও কোভ্যাক্সিন: রিপোর্ট

ঘটনার কথা স্বীকার না করলেও আগ্রার ওই বেসরকারি কোভিড হাসপাতালে তালা ঝুলিয়েছে প্রশাসন৷ এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার৷ অন্যদিকে, ২২ রোগী মৃত্যুর ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকারকে একহাত নিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী৷ সম্প্রতি হাসপাতালের মালিক অরিঞ্জয় জৈনের কথোপকথনের একটি অডিয়ো রেকর্ডিং প্রকাশ্যে এসেছে৷ যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷ যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘উত্তরপ্রদেশে অক্সিজেনের হাহাকার রয়েছে৷ আমাদের বলা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীও অক্সিজেনের জোগাড় করতে পারছেন না৷ রোগীর পরিজনদের বলা হয় হাসপাতাল ছাড়তে হবে৷ কয়েকজন রাজি হলেও, বেশিরভাগই তাতে রাজি হননি৷ তখনই একটা মক ড্রিল করি৷ এতে বোঝা যাবে কারা বেঁচে যাবেন আর কারা বাঁচবেন না৷’’

হাসপাতাল মালিককে আরও বলতে শোনা যায়, ‘‘মক ড্রিলের পরিকল্পনা করার পর যাঁদের অক্সিজেন জোগান বন্ধ করা যাবে তাঁদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিই৷ এটা কেউ জানে না৷’’ অরিঞ্জয় আরও বলেন, ‘‘২৭ এপ্রিল সকাল ৭টায় ৫ মিনিটের জন্য অক্সিজেন বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ অক্সিজেনের অভাবে ২২ জনের দেহ নীল হয়ে ওঠে৷ তাঁরা মারা যান৷ আইসিইউ ওয়ার্ডের যে ৭৪ জন রোগী বেঁচে যান, তাঁদের পরিবারের লোককে অক্সিজেন সিলিন্ডার আনতে বলি৷’’ 

যদিও ২২ জন রোগীর মৃত্যুর কথা মানতে নারাজ আগ্রা জেলাশাসক প্রভু এন সিং৷ তাঁর দাবি, পরশ হাসপাতালে ২৬ ও ২৭ এপ্রিল ৭ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছিল৷ তবে তাঁরা কেউই অক্সিজেনের অভাবে মারা যাননি৷ তিনি বলেন, অক্সিজেনের অভাবে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল৷ তবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়৷ মথুরা সংশোধনাগার থেকে অক্সিজেনের সাপ্লাই দেওয়া হয়৷ ঘটনার তদন্তের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *