কোহিমা: ভুলবশত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারালেন ১৩ জন গ্রামবাসী৷ ভুল করে তাঁদের সন্ত্রাসবাদী ভেবে গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী৷ অনুপ্রবেশ রুখতে মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওটিং গ্রামে অভিযান চালাচ্ছিল নিরাপত্তাবাহিনী৷ সেই সময় ভুলবশত এই ঘটনাটি ঘটে৷ নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এক জওয়ানও৷
আরও পড়ুন- কর্ণাটক, গুজরাতের পর মুম্বই, চতুর্থ ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলল দেশে
এই ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে টুইট করেছেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও৷ নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ ইতিমধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় মন জেলার ওটিং-এ গ্রামবাসীদের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করা হবে৷ উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হবে, আইন মেনে বিচার হবে। সকলের কাছে শান্তিরক্ষার আবেদন জানাচ্ছি।’
নাগাল্যান্ডের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের কথা জানিয়ে অসম রাইফেলস-এর পক্ষ থেকেও বিবৃতি জারি করা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারেই ওটিং গ্রাম থেকে একটি পিকআপ ভ্যানে চেপে ফিরছিলেন গ্রামবাসীরা। সন্ত্রাসবাদী ভেবে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। গ্রামবাসীদের কথায়, নিহত গ্রামবাসীরা খনি থেকে কাজ সেরে রাতে ঘরে ফিরছিলেন৷ কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা বাড়ি না ফেরায় তাঁদের খুঁজতে বেরয় পরিবারের লোকজন৷ তখনই ট্রাকের মধ্যে তাঁদের পড়ে থাকতে দেখা যায়৷ তাঁরাই দেহগুলি উদ্ধার করে৷
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন তিরু-ওটিং রোডে অভিযান চলার সময় স্থানীয় গ্রামবাসীদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী৷ তাদের গুলিতেই মৃত্যু হয় গ্রামবাসীদের৷ পুলিশের দাবি, ‘আত্মরক্ষার’ জন্য গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এই ঘটনার পরেই নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় গ্রামবাসীরা৷