কলকাতা: ও আর নেই৷ সকলকে ছেড়ে পাড়ি দিয়েছে না ফেরার দেশে৷ ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে শোকে পাথর ঐন্দ্রিলা শর্মার বিশেষ বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী৷ রবিবার দুপুর ১২টা বেজে ৫৯ মিনিট৷ সব্যসাচীর হাত ছাড়েন ঐন্দ্রিলা৷ অভিনেত্রীর বিদায়ে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার৷
আরও পড়ুন- বিদায় ‘ফাইটার’! ২০ দিনের লড়াই শেষ, চলে গেলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা!
উস্কোখুস্কো চুল, মুখে এক গাল দাড়ি, গায়ে কালো টি-শার্ট৷ শেষবার মনের মানুষকে ছুঁয়ে দেখলেন সব্যসাচী৷ ঐন্দ্রিলা যখন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন, তখন বটবৃক্ষের মতো তাঁর পাশে থেকেছেন এই মানুষটা৷ শেষযাত্রায় নিজের হাতে তাঁর কপালে চন্দন পরিয়ে দিলেন সব্যসাচী৷ একটি ভিডিয়োতে তেমনটাই দেখা গিয়েছে৷
ওই ভিডিয়োতে আরও দেখা গিয়েছে, শায়িত ঐন্দ্রিলার দেহর পাশে ঠায় বসে সব্যসাচী। এর পর সাদা চাদর সরিয়ে ঐন্দ্রিলার দু’পায়ে চুমু এঁকে দেন তিনি৷ পায়ে মাথা ছুঁইয়ে প্রণামও করেন সব্যসাচী। শেষ যাত্রায় সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার এই এহেন ভালোবাস চাক্ষুষ করতে হবে, তা বোধহয় কেউই ভাবতে পারেননি৷
দু-দু’বার মারণরোগের সঙ্গে লড়াই করে তিনি ফিরে এসেছিলেন ‘ফিনিক্স’ পাখির মতো। তাঁর সেই লড়াইয়েই সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন সব্যসাচী। গত ১ নভেম্বর আচমকাই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা৷ নিজের হাতে প্রিস মানুষটিকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন সব্যসাচী। বলেছিলেন, নিজের হাতেই ফিরিয়ে আনবেন৷ সমাজমাধ্যমে কিছু সময় অন্তর অন্তর ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার খবরও দিচ্ছিলেন। এমনকি, অলৌকিক কিছু যাতে ঘটে, তার জন্য প্রার্থনা করার আর্জিও জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু, সব প্রার্থনাই বিফল৷ মিরাকেল হল না। রবিবার দুপুরে বিদায় জানালেন ঐন্দ্রিলা। রেখে গেলেন এক অসামান্য লড়াইয়ের কাহিনি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>