আরও জটিল শিক্ষক বদলি প্রক্রিয়া! নতুন পোর্টালের গেরোয় বাড়ছে বিভাজন

আরও জটিল শিক্ষক বদলি প্রক্রিয়া! নতুন পোর্টালের গেরোয় বাড়ছে বিভাজন

কলকাতা: শিক্ষক বদলি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই সরকারের গড়িমসি চলছিল৷ বদলি ইস্যুতে কম ঝড় ওঠেনি৷ অবশেষে শিক্ষক বদলি নিয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ সরকারের তরফে জানানো হয়, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে স্কুল শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া এখন থেকে সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে হবে৷ লাগবে না কোনও এনওসি৷ আপস বদলি এবং সাধারণ বদলির ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর করা হবে৷ কিন্তু স্কুল শিক্ষা দফতরের অনলাইন পোর্টালে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষকরা৷ এমনকী অপস বদলির নয়া পোর্টালে শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন করা হচ্ছে বলে দাবি উঠল৷   

আরও পড়ুন- সুখবর! রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে ৬ হাজার কর্মী নিয়োগ, খুলছে ৭৫টি নতুন শাখা

শিক্ষক সমিতিগুলির দাবি, এই পোর্টালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে নিযুক্ত শিক্ষকদের (সাম্মানিক স্নাতক ও স্নাতকোত্তর) মধ্যে বিভাজন করা হয়েছে৷ নতুন পোর্টাল অনুযায়ী নর্মাল সেকশনের স্নাতকোত্তরদের সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক সেকশনের স্নাতকোত্তরদের মধ্যে আপস বদলি হবে না৷ কিম্বা নিউ সেটআপ স্কুলের সেকন্ডারি শিক্ষকদের সঙ্গে মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের সেকন্ডারি শিক্ষকদের আপস বদলি হবে না। পোর্টাল খুলেই এই অপসন ‘মিস ম্যাচ’ দেখাচ্ছে! অর্থাৎ যারা পুরানো শিক্ষক তাঁদের সঙ্গে নতুন শিক্ষকদের আপস বদলি সম্ভব নয়৷ নতুন কোনও শিক্ষক নর্মাল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পোস্টে সাধারণ বদলি পাবে না এবং পুরনো শিক্ষক-শিক্ষিকারা নতুন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পোস্ট পাবেন না৷ 

আরও পড়ুন- রাজ্যের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য সুখবর! সামাজিক সুরক্ষায় বড় উদ্যোগ!

ভাবার বিষয় হল পুরনো কতজন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক উচ্চমাধ্যমিক সেকশনে নিয়োগ পেয়েছেন? ২০১৬-র আগে স্নাতক জেনারেল, অনার্স এবং স্নাতকোত্তর সকল শিক্ষকই মাধ্যমিকের সাধারণ শাখায় নিযুক্ত হয়েছেন৷ ব্যতিক্রম ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, দর্শন, এডুকেশনের মতো বিষয়গুলি৷ আর গোল বেধেছে এখানেই৷ একজন শিক্ষক (অনার্স/স্নাতকোত্তর) ২০১৬-র আগে মাধ্যমিকে নিয়োগ পেয়েছেন৷ একই বিষয়ে অন্য একজন ২০১৬-র পর উচ্চমাধ্যমিকে নিযুক্ত হয়েছেন৷ দু’জন শিক্ষক একই যোগাত্যসম্পন্ন হলেও শাখা বিভাজনের জন্য নয়া পোর্টালে আপস বদলি সম্ভব হচ্ছে না৷ অথচ বদলির সরকারি নিয়মে এই নির্দেশিকার উল্লেখ করা হয়নি৷ ফলে বদলির আশ্বাস মিললেও, পোর্টালের গেরোয় বেজায় সমস্যায় পড়তে চলেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *