বাংলার কলেজে ‘অযোগ্য’ প্রার্থী নিয়োগের অভিযোগ! প্রতিবাদ গবেষক সংগঠনের

বাংলার কলেজে ‘অযোগ্য’ প্রার্থী নিয়োগের অভিযোগ! প্রতিবাদ গবেষক সংগঠনের

e8fa2328efe4a7ebfc0213003e980e90

কলকাতা: কলেজে নিয়োগ নিয়ে বারবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে৷ রাজ্যের কলেজগুলিতে কেন ‘অযোগ্য প্রার্থী’দের নিয়োগ করা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলে এবার পথে নামল ইউনাইটেড স্টুডেন্টস অ্যান্ড রিসার্চ স্কলার অ্যাসেসিয়েসন বা উসরেসা (USRESA)৷ আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ালেন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাসগুপ্ত৷ তুললেন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ৷ 

আরও পড়ুন- সুখবর! ২৪ শিল্পকেন্দ্রে ৩ কোটি কর্মসংস্থানের ঘোষণা কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রীর

এই আন্দোলনকারীরা সকলেই রিসার্চ স্কলার৷ কলেজে পড়ানোর ‘যোগ্যতা’ রয়েছে বলে দাবি তাঁদের৷ কিন্তু তাঁরা অধ্যাপনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত৷ অভিযোগ, রাজ্যের কলেজগুলিতে পড়াচ্ছেন অযোগ্য প্রার্থীরা৷ এই অভিযোগ তুলেই আন্দোলনের পথে হাঁটল উসরেসা৷ সোমবার প্রেস ক্লাবের বাইরে বিক্ষোভ দেখান চাকরি প্রার্থীরা৷ এক চাকরি প্রার্থীর কথায়, ২০১৯ সালে হাওড়ার প্রশাসনিক সভায় স্টেট এইডেড কলেজ টিচার (স্যাক্ট) বা SACT ঘোষণা করেছিলেন৷ এখানে দুটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে৷ এসএসিটি ১ এবং এসএসিটি ২৷ গবেষক প্রার্থীদের দাবি, নিয়ম অনুযায়ী এসএসিটি ২-এর মান, কলেজে পড়ানোর বিষয়ে যোগ্যতা যথাযথ নয়৷ ‘যোগ্যতা’র মান না থাকা সত্বেও তাঁদের ৬০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী করে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ৷ এভাবে যদি আসনগুলি আটকে দেওয়া হয়, তাহলে যাঁরা পিএইচডি করছে, প্রকৃত যোগ্যতা রয়েছে তাঁরা কী করবে? প্রশ্ন গবেষক প্রার্থীদের৷ 

আরও পড়ুন- সুখবর! ১.৪০ লক্ষ শূণ্যপদে রেলের নিযোগ পরীক্ষা চলতি বছরেই, ঘোষণা RRB-র

 

eaa376b5e2543c879c207ad78925ad9f
সাংবাদিক বৈঠক

যাঁদের যোগ্যতা নেই, তাঁরা শিক্ষকতা করলে রাজ্যে শিক্ষার মান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেই প্রশ্ন তুলছেন আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীরা৷ আরও এক চাকরি প্রার্থী বলেন,  ‘‘বি.এসসি, এম.এস.সি-তে ভালো নম্বর রয়েছে৷ নেট, সেট পাস করেছি৷ ভেবেছিলেন পিএইচডি করলে চাকরি পাব৷ কিন্তু এরই মধ্যে ঘোষণা করা হল মধ্য মেধার প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হবে৷ ৪০ শতাংশ নম্বর পেয়ে কলেজে পড়াচ্ছেন এই সকল প্রার্থীরা৷ তাঁদের ছাত্রছাত্রীরা কি কোনও দিনও জাতীয় বা আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিযোগিতায় যেতে পারবে?’’ রাজ্যের স্যাক্ট প্রকল্পের তীব্র বিরোধিতা করেছেন স্বপন দাসগুপ্ত৷ তিনি বলেন, ‘‘এই প্রকল্প আর বেশি দিন লাগু করা হলে পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা অন্ধকারে চলে যাবে৷ স্যাক্টের ভিতরে যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে তাঁদের যোগ্যতা সত্যই হাস্যকর৷ কলেজে শিক্ষকতা করার যোগ্য নন তাঁরা৷’’

একদিকে নিয়োগ দুর্নীতি৷ অন্যদিকে বেকারত্ব৷ বিধানসভা ভোটের আগে জোড়া ফলায় বিদ্ধ রাজ্যের তৃণমূল সরকার৷ ফলে ভোটের আগে এই বেকারত্বের তিরে শাসক দলকে যে বিদ্ধ করা হবে, তা বলাই বাহুল্য৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *