নয়াদিল্লি: এবার থেকে রেলে চাকরির জন্য শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতাই যথেষ্ট নয়৷ রেলের সঙ্গে যুক্ত হতে গেলে বিচার করে দেখা হবে প্রার্থীর মানসিক শক্তি-সামর্থ্যও৷ বিশেষ করে রেলের শীর্ষ স্তরের বিভিন্ন পদে আধিকারিক নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘সাইকোমেট্রিক অ্যাসেসমেন্ট’ বা মনঃশক্তি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করছে রেল।
আরও পড়ুন- উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের ধৃতের সঙ্গে বিজেপি নেতা! ছবি ঘিরে তরজা
রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ তো বটেই যে-সকল জেনারেল ম্যানেজারের উপর রেলের বিভিন্ন জোনের দায়িত্ব ন্যস্ত থাকে, সেই রকম প্রায় ৩৬টি শীর্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মনঃশক্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে রেল সূত্রে খবর৷ ওই সকল পদে আবেদনকারীদের অনলাইনে পনেরো-কুড়ি মিনিটের একটি পরীক্ষা নেওয়া হবে৷ সেই পরীক্ষার মাধ্যমেই যাচাই করে নেওয়া হবে তাঁদের মানসিক দক্ষতা৷ এই পরীক্ষার ভিত্তিতেই রেল পরিচালনার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ বা রেলের প্রশাসনিক পদের জন্য প্রার্থীর নাম নির্বাচন করা হবে৷
কিন্তু কেন এই পরীক্ষা? আসলে, রেলের উচ্চ পদস্থ অফিসারদের আপদকালীন পরিস্থিতিতে চটজলদি নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। রেলে যে কোনও সময় প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে৷ সেই কারণেই ওই সব পদে প্রার্থী নির্বাচনের আগে তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি মানসিক দক্ষতার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রার্থীদের ‘ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স’ যাচাই করা হবে সাইকোমেট্রিক অ্যাসেসমেন্ট পরীক্ষার মাধ্যমে।
ওই পরীক্ষার পাঁচটি পৃথক মাপকাঠিতে রয়েছে। যেমন- প্রার্থীদের নিজের সম্পর্কে ধারণা (দুর্বলতা, শক্তি, লক্ষ্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা), নিজেকে প্রকাশ করার ক্ষমতা (দেখা হবে আত্মবিশ্বাস, নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা ও মৌলিক চিন্তাভাবনার ক্ষমতা) ইত্যাদি বিষয়গুলি৷ এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কতটা দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম এবং চাপ সামলানোর ক্ষমতা রয়েছে, তাও যাচাই করা হবে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>