UPSC-তে সাফল্যের মন্ত্র কী? জানালেন মেদিনীপুরের কৃতি ছাত্র ইন্দ্রাশিস

UPSC-তে সাফল্যের মন্ত্র কী? জানালেন মেদিনীপুরের কৃতি ছাত্র ইন্দ্রাশিস

কলকাতা: সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে সোমবার৷ সকলকে চমকে দিয়ে এবার মেধা তালিকায় প্রথম চারটি স্থানে রয়েছে নারী৷ দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন কলকাতার মেয়ে অঙ্কিতা আগরওয়াল৷ মেধা তালিকার প্রথম ১০০ জনের মধ্যে রয়েছেন মেদিনীপুরের ছাত্র ইন্দ্রাশিস দত্ত৷ ইউপিএসসি-তে তাঁর ব়্যাঙ্ক ৯৪৷ তবে এটা তাঁর দ্বিতীয় প্রয়াস৷ আগেও এক বারও পরীক্ষায় বসেছিলেন৷ ব়্যাঙ্ক হয়েছিল ৩১৮৷ তবে হাল ছাড়েননি৷ বরং আরও বেশি পরিশ্রম আর অধ্যাবসায় নিজেকে গড়ে তোলেন৷ এক বছরের মধ্যেই ৩০০-র কোটা থেকে তাঁর ব়্যাঙ্ক ৯৪ এ পৌঁছয়৷ এটা নিঃসন্দেহে কৃতিত্বের৷ ছেলের সাফল্যে খুশির হাওয়া দত্ত পরিবারে৷ ইন্দ্রাশিসের কথায় কঠিন অধ্যাবসায়, আত্মবিশ্বাস আর মনের জেদটাই সাফল্যের আসল চাবিকাঠি৷  

আরও পড়ুন- সিভিল সার্ভিসে দেশের দ্বিতীয় কলকাতার অঙ্কিতা, শোনালেন উত্তরণের কাহিনী

 
ছেলেবেলা থেকেই মেধাবী মেদিনীপুরের বার্জ টাউনের ছাত্র ইন্দ্রাশিস দত্ত৷ পড়াশোনার জন্য ছোট থেকেই থেকেছেন বাড়ির বাইরে৷ নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে মাধ্যমিক পাস করেন৷ এর পর মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পাড়৷ ২০১১ সালে মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেন। সর্বভারতীয় প্রবেশিকায় ইন্দ্রাশিসের ব়্যাঙ্ক ছিল ৩৫৷ ভালো ফল করায় সরাসরি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগও পেয়ে যান এই কৃতী৷ কলেজে ভর্তিও হন৷ মেডিক্যালে স্থান পেলেও বরাবরই ইন্দ্রাশিসের টান ছিল বিজ্ঞানের প্রতি। সেই টানেই মাঝপথে ডাক্তারির পড়া ছেড়ে বেঙ্গালুরুতে IISC- তে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন৷

বেঙ্গালুরু থেকে ফেরার পর উচ্চশিক্ষার জন্য ইজারায়ালে পাড়ি দেন মেদিনীপুরের এই ভূমিপুত্র৷  ২০১৮ সালে দেশে ফেরার পরেই ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেন ইন্দ্রাশিস। অবশেষে তাঁর স্বপ্নপূরণ। দ্বিতীয়বারের চেষ্টাতেই সাফল্যের শিখড় ছুঁলেন বঙ্গতনয়৷ 
সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তার মারফৎ ইউপিএসসি’র ফল জানতে পারেন ইন্দ্রাশিস৷ ব়্যাঙ্ক জানার পরেই খুশির হাওয়া বার্জ টাউনের এ-৬১ নম্বর বাড়িতে। কিন্তু, কী ভাবে এল এই সাফল্য? ইন্দ্রাশিস বলেন, “সফল হতেই হবে, এই আপ্তবাক্যটি আঁকড়ে ধরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। আত্মবিশ্বাস ছিল। জানতাম ভাল ফল হবে।” তাঁর সেই আত্মবিশাস অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল৷ তবে আরও ভালো ব়্যাঙ্ক আশা করেছিলেন ইন্দ্রাশিস৷ ভেবেছিলেন প্রথম ৫০-এ থাকবেন৷ সেটা না হলেও, তিনি সন্তুষ্ট৷ তাঁর কথায়, আবার পরীক্ষায় বসলে আশা করি আরও ভালো ফল করতে পারব৷