নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই ফের দিশেহারা অর্থনীতি৷ কর্মহীন লক্ষ লক্ষ মানুষ৷ বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে৷ গত চার মাসে সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব দেখা দিয়েছে এপ্রিলে৷ বেকারত্বের হার পৌঁছে গিয়েছে প্রায় ৮ শতাংশে৷ কর্মহীন প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ৷
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা! রাজ্যের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের
সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি প্রাইভেট লিমিটেডের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে বেকারত্বের হার ৬.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭.৯ শতাংশে পৌঁছয়৷ সিএমআইই-র ম্যানেজিং ডিরেক্টরের কথায়, ‘‘কর্মসংস্থান হ্রাস পেতে শুরু করেছে৷ এর জন্য মূলত লকডাউনই দায়ী৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এখনও ভাইরাসের দাপট বেশ তীব্র৷ চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যের দিকেই বেশি নজর দেওয়া হয়েছে৷ মে মাসেও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷’’
আরও পড়ুন- আদালতের মৌখিক পর্যবেক্ষণ সংবাদমাধ্যমে যাওয়া আটকানো যায় না: সুপ্রিম কোর্ট
দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা করোনা আক্রান্তের সাড়ে ৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ যদিও সোমবার নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে৷ অন্যদিকে শনিবার বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়৷ ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ মাথা চাড়া দেওয়ার পরেই কড়া লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ যার জেরে কাজ হারান লক্ষ লক্ষ মানুষ৷ ক্রমশ নিম্নমুখী হতে থাকে অর্থনীতি৷ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউনের পথে হাঁটতে শুরু করেছে৷ যার ধাক্কা এসে পড়েছে কাজের জগতে৷ যে ভাবে কর্মসংস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে, তাতে ভারতের ইকোনমিক গ্রোথ দুই সংখ্যায় পৌঁছবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে৷