কলকাতা: ১৩ মাস বেতন নেই তাঁর। বদলি নিতে গিয়ে প্রায় ১ বছর বেকার হয়ে গিয়েছেন তিনি। এতদিন বিচারের আশায় আদালতে ঘুরেছেন। এবার তাঁর মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল। ‘অভিযুক্ত’ প্রধান শিক্ষককে ডেডলাইন দেওয়া হল এক সপ্তাহের। এর মধ্যে নির্দেশ অনুযায়ী কাজ না হলে সর্বোচ্চ সাংবিধানিক ক্ষমতার প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়ে দিল আদালত। ঠিক কী ঘটনা।
আরও পড়ুন- ৫০ লক্ষ ভুয়ো কার্ড লক! কত রেশন পাবেন জানানো হবে SMS-এ
উত্তর দিনাজপুর গোয়ালপোখরের তুতিকাটা হরমা আদিবাসী জুনিয়র গার্লস স্কুলের ইংরেজি শিক্ষিকা ছিলেন সংযুক্তা রায়। উত্তর দিনাজপুরেরই রায়গঞ্জ করোনেশন স্কুলে তাঁর বদলি হয়েছিল। কিন্তু ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তাঁর স্কুলে জয়েন করার কথা থাকলেও এখনও তা হয়নি। এই ইস্যুতেই কাঠগড়ায় রায়গঞ্জ করোনেশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। অভিযোগ, এক খুনের আসামি শিক্ষক জেল থেকে বেরনোর পর তাকে চাকরি দেওয়া হবে বলে তিনি এই শিক্ষিকাকে জয়েন করতে দিচ্ছেন না। সেই কারণেই গত ১৩ মাস ধরে শিক্ষিকা আচমকাই বেকার হয়ে গিয়েছেন। তিনি তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন যার প্রেক্ষিতে আজ করোনেশন স্কুলের টিচার-ইন-চার্জকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আগামী শুক্রবারের মধ্যে এই শিক্ষিকার চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। যদি নির্দেশ মতো কাজ না হয় তাহলে আদালত তার সর্বোচ্চ সাংবিধানিক ক্ষমতার প্রয়োগ করবে।
এর আগে এই ইস্যুতে সংশ্লিষ্ট জেলার স্কুল পরিদর্শককে এই স্কুলের ‘অভিযুক্ত’ প্রধান শিক্ষকের বেতন বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একই সঙ্গে কীসের কারণে ১৩ মাস বেকার শিক্ষিকা, সেই প্রশ্নের উত্তরও চান তিনি। গোটা ঘটনায় আজ একেবারে চরম নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।