কলকাতা: গতকাল প্রকাশিত হয়েছিল উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ তালিকা। কিন্তু সেই তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরেও বিতর্ক জারি ছিল। নম্বর সহ তালিকা প্রকাশের পরেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে। বেশি নম্বর থাকলেও বাতিল করা হয়েছে, এই অভিযোগ উঠছে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশের পর। সেই নিয়ে আজ সকাল থেকে বিক্ষোভ হয় শহরে। যদিও এই ইস্যুতে জটিলতা আপাতত কেটে গেল। কারণ, নিয়োগে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আজ নিয়োগে স্থগিতাদেশ উঠে গেল এসএসসির। সুতরাং নিয়োগ করতে আর বাধা নেই এসএসসির। তবে, ২০১৬ সালের তালিকায় এখন নিয়োগ, তাই পাঁচ বছরের রেলেক্সেশান দিতে হবে বয়সের ক্ষেত্রে। যারা মামলা করেছেন তাদের আলাদা করে ডেকে কাউন্সেলিং করে অভিযোগ শুনতে হবে এসএসসিকে। ১২ সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। রাজ্যে অনেক চাকরি প্রার্থী রয়েছেন যারা এই চাকরীর দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেরই চাকরীর বয়সসীমা অতিক্রান্ত হয়েছে ৫ বছর। তাই এই রিলাক্সেশন দিতেই হবে। এমনটাই জানান হয়েছে আদালতের তরফে। এই ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার ও কমিশন এই বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে ভেবে দেখবেন বলেই তিনি আশা করছেন।
আরও পড়ুন- অ্যাপ্রেন্টিস পদে ৬১০০ কর্মী নিয়োগ করবে SBI
এদিন সকাল থেকেই এই ইস্যুতে বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয় এসএসসি ভবনের সামনে। দফতরের বাইরে কমিশনের নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান চাকরিপ্রার্থীরা৷ বাইরে হইচই হলেও কমিশনের তরফে কোনও উত্তর আসেনি৷ ফলে চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে৷ নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে চলে তুমুল বাকবিতণ্ডা৷ একাধিক অভিযোগ নিয়ে বিক্ষোভে নেমেছিলেন চাকরি প্রার্থীরা৷ তাঁদের অভিযোগ ছিল, ডকুমেন্ট আপলোড করার জন্য তাঁদের কোনও মেল করা হয়নি৷ কোনও ফোন আসেনি৷ এর পরেও তাঁরা ডকুমেন্ট আপলোড করেছেন এবং তা এসএসসি’র সাইটে সফলও দেখিয়েছে৷ তথ্য আপলোডের প্রমাণও রয়েছে তাঁদের কাছে৷ অথচ এর পরেও অনেকের নাম রিজেক্ট লিস্টে চলে গিয়েছে৷ তাঁরা ডকুমেন্ট আপলোড করেননি বলে এসএসসি’র তরফে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছিল৷