যোগ্যতা এক, নিয়োগে বৈষম্য কেন? পর্ষদের কাছে হলফনামা চাইল হাই কোর্ট

যোগ্যতা এক, নিয়োগে বৈষম্য কেন? পর্ষদের কাছে হলফনামা চাইল হাই কোর্ট

কলকাতা:  যোগ্যতা এক৷ কিন্তু চাকরি থেকে বঞ্চিত তাঁরা৷ এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শতাধিক শিক্ষক পদপ্রার্থী৷ উল্লেখযোগ্যভাবে চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এই মামলায় সওয়াল করেছেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 

আরও পড়ুন- প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আর্জি অনশনরত ‘বঞ্চিত’ প্রার্থীদের, শরণাপন্ন মুখ্যমন্ত্রীর!

মামলাকারীদের অভিযোগ, ২০০৪-০৫ সালে  প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন তাঁরা৷ পিটিটিআই প্রশিক্ষণও নেওয়া রয়েছে তাঁদের। সমস্ত শংসাপত্রও রয়েছে। উল্লেখ্য, পিটিটিআই থেকে প্রশিক্ষণ নিলে অতিরিক্ত ২২ নম্বর পেয়ে থাকেন প্রার্থীরা। কিন্তু এক্ষেত্রে অভিযোগ, তাঁদের এই অতিরিক্ত ২২ নম্বর দেওয়া হয়নি।

এর আগে একই অভিযোগে বহু প্রার্থী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন৷ তাঁরা মামলায় জিতেও যান৷ শীর্ষ আদালত তার রায়ে জানায়, মামলাকারী প্রার্থীদের পিটিটিআই-এর জন্য অতিরিক্ত ২২ নম্বর দিতে হবে৷ পাশাপাশি উপযুক্ত শূন্য পদ তৈরি করে তাঁদের নিয়োগ দিতে হবে৷ উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ছিল  শুধুমাত্র মামলাকারীদের জন্য। অন্যদিকে,  যে সকল চাকরি প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে নতুন করে মামলা করেন, তাঁদের নম্বর না দেওয়া প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানায়, এই প্রার্থীরা যে সমস্ত সংস্থা থেকে পিটিটিআই পাশ করেছেন সেগুলি বৈধ নয়৷ সেকারণেই তাঁদের পিটিটিআই-এর জন্য অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়নি।

এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই বাকি প্রার্থীরাও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন৷ তাঁদের বক্তব্য ছিল,  একই যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র মামলাকারীরাই এই সুযোগ পাবে কেন? সকলকে সুযোগ দিতে হবে৷ এই আর্জি নিয়ে তাঁরা হাইকোর্টে যায়৷ আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এই বিষয়ে তাদের বক্তব্য হলফনামা হিসাবে জমা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 2 =