কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে দীর্ঘকালীন স্কুল, পাঠাশালা বন্ধ থাকার কারণে এবং শিক্ষকের অভাবে আজ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলি বন্ধ হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা। এদিকে, রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত ৩০৬ দিন অনশনরত মেধাতালিকাভুক্ত ছেলেমেয়েদের কোনো সুরাহা হয়নি বলে দাবি তোলা হচ্ছে। কেন ৩০৬ দিনেরও বেশি সময় ধরে চাকরি চাইতে গিয়ে শীত, ঝড়, মহামারীরকে উপেক্ষা করে অনশন ও অবস্থান বিক্ষোভ করতে হবে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রথম দফায় ডাক পেয়ে, এই প্রশ্ন উঠছে। বক্তব্য একটাই, প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও তা পূর্ণ হয়নি।
দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত সকল মেধাতালিকাভুক্ত চাকরি প্রার্থীর চাকরি সুনিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও কেন পুজোর মরসুম গুলো তাদের রাস্তায় কাটাতে হয়? কেন আত্মঘাতী হয় মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত প্রার্থী? কেন ছেলেমেয়েরা পরীক্ষায় পাশ করেও দুর্নীতির শিকার হয়ে বঞ্চিতই থেকে যায়? কেন দুর্নীতির বলি হতে হয় শিক্ষিত মেধার? এই প্রশ্নগুলি তুলে বঞ্চিতদের সমস্যা সমাধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পুনরায় হস্তক্ষেপ চাইলেন ৩০৬ দিন ধরে আন্দোলনকারী বঞ্চিত হবু শিক্ষকরা। তাদের বক্তব্য, আজ স্কুলগুলি শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এদিকে মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত প্রার্থীরা রাস্তায় বসে আছে তাদের ন্যায্য অধিকারের দাবীতে। তাদের প্রশ্ন, যে স্কুল সার্ভিস কমিশন আজ আইন দেখাচ্ছে তারা কোন আইনে নিজের গেজেটকে লঙ্ঘন করে নম্বর প্রকাশ না করে মেধাতালিকা প্রকাশ করে? কোন আইনে নিজের গেজেটে উল্লেখিত ১:১.৪ নিয়ম না মেনে নিয়োগ করে? কোন আইনে মেধাতালিকায় পেছনের সারিতে থাকা প্রার্থীকে আগে নিয়োগ দেয়?
বঞ্চিত মেধাতালিকাভুক্তদের আরো দাবি, স্কুল সার্ভিস কমিশন নিজের গেজেটকে মান্যতা দিয়েই রেশিও মেনে ১:১.৪ অনুপাতে নিয়োগ করে আইনি পথে মেধাতালিকাভুক্ত সকলের চাকরি সুনিশ্চিত করুক। তবেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির যথাযথ বাস্তবায়ন হবে। তাদের আশা, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করে মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত প্রার্থীদের প্রতি সুবিচার করবেন।