নয়াদিল্লি: কোভিড পরিস্থিতিতে দীর্ঘ লকডাউনে দেশের অর্থনীতির অবস্থা সঙ্গীন৷ বহু মানুষ চাকরি হারিয়ে আজ বেকার৷ শুধু বেসরকারি ক্ষেত্র নয়, প্যান্ডেমিক ঝড়ের ঝাপটা লেগেছে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও৷ গত তিন বছরের মধ্যে তলানিতে ঠেকেছে নিয়োগ৷ শুধু রাজ্য সরকার নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির হালও প্রায় এক৷
সরকারি নথি অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষের প্রথম চার মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে নিয়োগের মাসিক গড় হার ৫০ শতাংশ৷ সেখানে রাজ্য সরকারের মাসিক গড় নিয়োগের হার ৬০ শতাংশ৷ ন্যাশনাল পেনসন সিস্টেম (এনপিএস)-এর পে-রোল ডাটা অনুযায়ী, ২০২১ অর্থবর্ষে সরকারি চাকরি প্রায় তলানিতে ঠেকবে৷ আগামী বছর নিয়োগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পতন ঘটতে চলেছে৷ কোভিড পরিস্থিতির জেরে আইসিইউ-তে পৌঁছে গিয়েছে অর্থনীতি৷ ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে দেশ৷ এই পরিস্থিতিতে শুধু বেসরকারি চাকরি নয়, নিয়োগের হার কমাতে শুরু করেছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার৷
আরও পড়ুন- উৎসবের মরশুমে সুখবর, লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ দিচ্ছে ই-কমার্স সংস্থাগুলি
চলতি অর্থবর্ষের প্রথম চার মাসে ভারতীয় অর্থনীতি ২৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে৷ এই অবস্থায় নতুন করে নিয়োগ না করার জন্য মন্ত্রকগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে প্রতি মাসে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বৃদ্ধি ৯,৯০০ দেখিয়েছিল এনএসপি৷ ২০১৮-১৯ এ তা ছিল ৯,২০০ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ছিল ১১ হাজার৷ কিন্তু ২০২০ অর্থবর্ষে মাসিক বৃদ্ধি ৫,২৫০৷ ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে ২৬ হাজার ১৪৪ চাকরি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার৷
আরও পড়ুন- TET পাস করেও মেলেনি নিযোগ, প্রতিবাদে ফের বিক্ষোভ হবু শিক্ষকদের
আবার মে থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত হোয়াইট কালার কাজের ক্ষতি বিবেচনা করা হলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর৷ সেন্টার ফর মনিটরিং অ্যান্ড অ্যানালিস্ট-এর তথ্য অনুযায়ী এই ক’মাসে কাজ হারিয়েছেন প্রায় ৬ মিলিয়ন ইঞ্জিনিয়র, চিকিৎসক, শিক্ষক, হিসাবরক্ষক ও বিশ্লেষক৷ এর উপর অশনি সংকেত দিলেন ইন্ডিয়ান পাবলিক সার্ভিস ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি প্রেম চান্দ৷ তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আগামী দিনে আরও নিয়োগ হ্রাস করতে চলেছে সরকার৷’’ হয় পদ কমানো হবে৷ না হলে চুক্তি ভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা হবে বলেই জানিয়েছেন চান্দ৷