বারাসত: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের টেট বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার ৩ বছর পরও শূন্যপদ কিংবা পরীক্ষার দিনক্ষণ এখনও জানাতে পারেনি পর্ষদ৷ তবে, ভোটের আগে টেট পরীক্ষা হতে পারে ধরে নিয়ে প্রশাসনের অন্দরে প্রস্তুতি শুরু হলেও ক্ষোভ বাড়ছে টেট উত্তীর্ণ থেকে শুরু করে টেট পরীক্ষা দিতে চেয়ে আবেদন করা প্রার্থীদের মধ্যে৷ এবার করোনাকালে সেই বিক্ষোভ এবার আছড়ে পড়ল প্রশাসনিক দফতরের দুয়ারে৷
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়ে সোমবার বারাসত জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ দীর্ঘ সময় অবস্থান বিক্ষোভ চলে৷ পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেন চাকরিপ্রার্থীরা৷ পরে চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিরা জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন৷
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক টেট ২০১৫ সালে তাঁরা উত্তীর্ণ এবং ডিএলএড প্রশিক্ষিত৷ কিন্তু, টেট পাস করার পরও চাকরি পাননি তাঁরা৷ টেট পাস করার পরও কেন মিলছে না নিয়োগ? প্রশ্ন তুলে জেলাশাসকের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ পরে তাঁরা জেলাশাসকের অফিসে ঢোকার মূল দরজার সামনে বসে পড়েন তাঁরা৷ দীর্ঘ সময় ধরে চলে বিক্ষোভ৷
পরে পুলিশ পৌঁছে তাঁদের সরিয়ে দেয়৷ চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০১৫ সালের তাঁরা টেট পরীক্ষায় সফল হন৷ তখন তাঁদের ডিএলএড প্রশিক্ষণ ছিল না৷ তখন শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, টেট উত্তীর্ণদের প্রশিক্ষণ না থাকলে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে না৷ পরে তাঁরা প্রশিক্ষণ নিলেও এখনও নিয়োগ করা হয়নি তাঁদের৷