কলকাতা: দীর্ঘদিন ধরেই কোয়ারেন্টাইন লিভ চালু করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন তাঁরা৷ সেই দাবি মেনে অবশেষে তাঁদের জন্য এই লিভ চালু করা হল৷ ফলে এবার থেকে সরকারি স্কুলের পাশাপাশি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও সরকার পোষিত স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরাও এই লিভের সুবিধা পাবেন৷ এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে বিকাশভবন৷ প্রসঙ্গত, এতদিন সরকারি স্কুল-কলেজে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী ছাড়া বাকিদের জন্য ‘কোয়ারেন্টাইন লিভ’-এর কোনও সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা ছিল না।
আরও পড়ুন- এক ধাক্কায় ৫০% বাড়ল বঙ্গের সংক্রমণ, কলকাতায় প্রায় ৫ হাজার
গোটা দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ৷ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা৷ এমতাবস্থায় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির অফলাইন ক্লাস বন্ধ হলেও মিড ডে মিল বা পাঠ্য পুস্তক বিতরণের মতো কাজের জন্য স্কুলে আসতেই হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের৷ ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকই যাচ্ছে৷ করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকেই রাজ্য সরকারের কাছে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও সরকার পোষিত স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকারা কোয়ারেন্টাইন লিভের জন্য আবেদন করে আসছিলেন। মৌখিক ভাবে এতদিন তাঁদের বার্তা দেওয়া হলেও এতদিন কোনও লিখিত নির্দেশিকা ছিল না। তাই করোনা আক্রান্ত হলে তাঁরা ‘কোয়ারেন্টাইন লিভ’ পাবেন কি না সেই বিষয়টিও স্পষ্ট ছিল না।
সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা কোভিড আক্রান্ত হলে তাঁরা সর্বোচ্চ ২১ দিনের ছুটি পাবেন। ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ দিন পর্যন্ত ছুটি পেতে পারেন তাঁরা। কোয়ারেন্টাইন লিভে থাকার সময় শিক্ষক-শিক্ষিকারা সম্পূর্ণ বেতন পাবেন৷ সেই সঙ্গে বাকি সুযোগ সুবিধাও পাবেন। তবে কোয়ারেন্টাইন লিভের জন্য মিউনিসিপ্যাল হেলথ অফিসার অথবা রেজিস্টার্ড মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনারের লেখা সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে৷ তবে অন্য কোনও ছুটির সঙ্গে এই ছুটিকে এক করা যাবে না বলে অর্ডারে বলা হয়েছে।
শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘‘বারবার দাবি জানানোর পর সমস্ত স্তরের শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের জন্য কোয়ারেন্টাইন লিভ চালু হল। বাস্তবসম্মত কারণে অনেক আগেই এটি চালু করার প্রয়োজন ছিল। দেরিতে হলেও দাবি মেনে নেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ শিক্ষা দপ্তরকে।’’