কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এবার আরও অস্বস্তি বাড়ল রাজ্যের। কারণ গ্রুপ ডি মামলায় রিপোর্ট পেশ করেছে বিচারপতি বাগের অনুসন্ধান কমিটি। সেখানে জানান হয়েছে, ৬০৯ টি ভুয়ো সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছিল। নিয়ম অনুসারে, সুপারিশ পত্রের হিসাব রাখার জন্য আলাদা রেজিস্ট্রার ছিল। কিন্তু চেয়ারম্যানকে না জানিয়েই এই সুপারিশ পত্র দেওয়া হত। এই নিয়োগপত্র গুলি পর্ষদের অফিস থেকে না দিয়ে এসএসসির নবনির্মিত ভবন থেকে দেওয়া হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বিচারপতি বাগের কমিটি। স্পষ্ট দাবি করা হয়েছে, সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল কমিটির প্রাক্তন উপদেষ্টা-সহ একাধিক পদাধিকারীদের নির্দেশেই।
আরও পড়ুন- ২০১৬-র পর হয়নি পরীক্ষা, কবে হবে জানা নেই, দুর্নীতির কাঁটায় বিদ্ধ এসএসসি
এদিকে আরও দাবি করা হয়েছে, এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা এই ভুয়ো সুপারিশপত্র তৈরি করেছেন। এছাড়াও নাম উঠে এসেছে, এসএসসির কর্মী-আধিকারিক সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শর্মিলা মিত্র, মহুয়া বিশ্বাস, শুভজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শেখ সিরাজউদ্দিনের। যারা যারা এর সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং ভুয়ো নথি বানানোর অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা উচিত বলেই আবেদন জানান হয়েছে আদালতে। ৪৬৫, ৪১৭, ৪৬৮, ৩৪, ১২০ বি ধারায় মামলা করা উচিত বলে আবেদন।
কলকাতা হাইকোর্ট দুর্নীতি মামলার অনুসন্ধানে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছিল। ৩ মাসের মধ্যে এই তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে হত। হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করবে বিচারপতি আর কে বাগের নেতৃত্বাধীন কমিটি। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে গ্রুপ সি নিয়োগে দুর্নীতির অনুসন্ধান কমিটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগ।
