রেলভবন অভিযান করেও লাভ হয়নি, সেন্টার সমস্যা মেটাতে বড় পদক্ষেপ চাকরিপ্রার্থীদের

রেলভবন অভিযান করেও লাভ হয়নি, সেন্টার সমস্যা মেটাতে বড় পদক্ষেপ চাকরিপ্রার্থীদের

কলকাতা: রেলে নিয়োগ পরীক্ষার সেন্টার নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল তার সমাধান আজও হল না। গত ২৯ এপ্রিল রেলের নিয়োগের এনটিপিসি সিবিটি-২-র নিজেদের নির্দিষ্ট জোনে পরীক্ষার সেন্টার দেওয়ার দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ চাকরি প্রার্থী মঞ্চের পক্ষ থেকে আরআরবি কলকাতা অফিসে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়। কথা ছিল, সেন্টার কোথায় হবে তা ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু ৩ দিন হয়ে গেলেও তেমন কিছুই জানান হয়নি। তাই চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ। চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের পক্ষ থেকে ইন্দ্রজিৎ ঘোষ সমস্যা সমাধানের দ্রুত আর্জি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন- আদালত অবমাননার দায়ে রুল জারি মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে! আট দিনে দ্বিতীয়বার

আন্দোলনকারীদের বক্তব্য ছিল, ২০১৯ সালে রেলে এনটিপিসি’তে নিয়োগের নোটিফিকেশন দেওয়া হয়। ৩ বছর ধরে অনেক টালবাহানা চলছে কিন্তু কিছুই হয়নি। সিবিটি-১-এর রেজাল্ট বেরিয়েছে মাস চারেক আগে। এবার সিবিটি-২-র পরীক্ষা হবে আগামী ৯ ও ১০ মে তারিখে। এর পরীক্ষার সেন্টার ফেলা হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, কেরল, অসমে। তাদের অভিযোগ, ফর্ম ফিলাপের সময় যে সেন্টার তারা উল্লেখ করেছিল তা মানা হয়নি। এছাড়াও বেকার ছেলেমেয়েদের কেবল মাত্র পরীক্ষা দেওয়ার জন্য হাজার হাজার টাকা খরচের কোনো যুক্তি নেই। এর বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলেছে তারা। তবে আরআরবি কলকাতা অফিসে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার পরেও কেন কোনও পদক্ষেপ করা হল না তা নিয়েই এখন প্রশ্ন।

সংগঠনের পক্ষ থেকে ইন্দ্রজিৎ ঘোষ জানাচ্ছেন, ৩ দিন হয়ে গেলেও আজ ও কোনো কিছু জানানো হয়নি। এদিকে পরীক্ষার দিন ও এগিয়ে আসছে। পরীক্ষার্থীরা খুবই উদ্বেগের মধ্যে আছেন। তাই, পরীক্ষা স্পেশাল ট্রেন বা পরীক্ষার্থীদের জন্য সব ট্রেনে বিশেষ কামরার ব্যবস্থা করার জন্য চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের পক্ষ থেকে আজ পূর্ব রেল, দক্ষিণ-পূর্ব রেল ও নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেল কর্তৃপক্ষের কাছে মেলের মাধ্যমে আবেদন করা হয়। এর সাথে চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের পক্ষ থেকে সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য মহাশয়ের কাছেও আবেদন করা হয়। যাতে সাংসদ হিসাবে রেল কর্তৃপক্ষকে পরীক্ষা স্পেশাল ট্রেন বা ট্রেনে পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত কামরার ব্যবস্থা করা হয় সেটা উনি বলেন। জানা গিয়েছে, বিকাশ ভট্টাচার্য তাদের সাহায্য করবেন বলেই জানিয়েছেন এবং রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + seven =