কলকাতা: দীর্ঘ দিন ধরেই রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও অনুমোদিত স্কুলগুলিতে ফাঁকা পড়ে রয়েছে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিষয়ে সহ শিক্ষকের পদ৷ স্কুলে এই দুটি বিষয়ে শিক্ষকের অভাব থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে কোনও নিয়োগ করা হয়নি৷ এই শূন্য পদগুলিতে সহশিক্ষক নিয়োগ সহ একাধিক দাবিতে আগামীকাল অর্থাৎ ৩ নভেম্বর বিকাশ ভবন অভিযানের কর্মসূচি নিয়েছেন তালিকাভুক্ত প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন- কনস্টেবল নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ, প্রতিবাদী প্রার্থীদের পুলিশি হেনস্থা
তাঁদের অভিযোগ, সমস্ত বিষয়ে (৯,১০,১১,১২)-র ওয়েটিং প্রার্থীদের ৪০০০ আসন আপডেট করা হয়েছিল৷ কিন্তু শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার কোনও আসন এখনও পর্যন্ত আপডেট হয়নি৷ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের আবেদন, এই দুটি বিষয়ের উপর দৃষ্টি দেওয়া হোক এবং দ্রুত নিয়োগের বন্দোবস্ত করা হোক৷ প্রসঙ্গত, এর আগেও নিজেদের দাবি জানিয়ে শিক্ষা দফতরের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা৷ দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন৷ কিন্তু এর পরেও কাজ হয়নি৷ ওয়েটিং প্রার্থীদের দাবি, ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষার বহু শিক্ষক অবসর নিয়েছেন৷ দীর্ঘদিন ধরে শূন্যপদগুলি ফাঁকা পড়ে থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করছে না রাজ্য সরকার৷
তাঁদের আবেদন, অনুমোদিত স্কুলগুলিতে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তালিকাভুক্ত ওয়েটিং প্রার্থীদের কথা মাথায় রেখে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে৷ সংরক্ষণ তালিকায় প্রচুর প্রার্থী দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষারত রয়েছেন৷ ফলে তাঁদের আগ্রাধিকার দাবিও জানানো হয়েছে৷ উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলিতে এই দুই বিষয়ে আপডেট ভ্যাকেন্সিতে নিয়ম নেমে মেরিট লিস্টে অপেক্ষারত প্রার্থীদের ১.১:৪ অনুপাতে নিয়োগ করতে হবে।
আরও পড়ুন- মাসিক ১.৫০ লক্ষ টাকা বেতনে খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগে নিয়োগ রাজ্যের
আবেদনপত্রে জানানো হয়েছে, অপেক্ষারত বহু প্রার্থীর এসএসসি পরীক্ষায় বসার ন্যূনতম বয়সসীমা অতিক্রান্ত হতে চলেছে এই বছরই। তাঁদের বিষয়টি চিন্তা ভাবনা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত এবং দ্রুত করার আর্জিও জানানো হয়েছে৷ তাঁদের দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে বলেও জানানো হয়েছে৷