কলকাতা: চিকিৎসক নিয়োগে বড়সড় বেনিয়মের অভিযোগ উঠল৷ গতকাল ১৫ ফেব্রুয়ারি ৬৪৭ জন চিকিৎসক অধ্যাপকের নিয়োগ তালিকা প্রকাশিত হয়৷ সেই তালিকায় একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে৷ একই চিকিৎসকের নাম রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে৷ বহু যোগ্য প্রার্থী বঞ্চিত হয়েছেন বলেও অভিযোগ তুলেছে চিকিৎসক সংগঠনগুলি৷
আরও পড়ুন- রাজ্যের সব জেলা থেকে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ, ব়্যালির দিনক্ষণ ঘোষণা
চিকিৎসক অধ্যাপকদের এই নিয়োগ প্যানেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে৷ ওই প্যানেলে রয়েছে আরএমও কাম ক্লিনিক্যাল টিউটর অ্যান্ড ডেমোস্ট্রেটরের নাম৷ অর্থাৎ যাঁরা চিকিৎসাও করবেন এবং মেডিক্যাল কলেজগুলিতে পঠনপাঠনের সঙ্গেও যুক্ত থাকবেন৷ এর মধ্যে এমন বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে যাঁরা একাধিক বিভাগে বিশেষজ্ঞ হিসাবে নিয়োগপত্র পয়েছেন৷ যেমন দেখা গিয়েছে অর্পিতা গায়েন নামে এক চিকিৎসক ১৩টি ডিসিপ্লিনে নিযুক্ত হয়েছেন৷ অর্থাৎ তাঁর নামে ১৩টি নিয়োগপত্র বেড়িয়েছে৷ আবার দীপাঞ্জন হালদার নামে এক চিকিৎসক ৭টি পৃথক ডিসিপ্লিনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসাবে নিয়োগপত্র পেয়েছেন৷ একাধিক বিভাগে তাঁরা আবেদন করেছিলেন এবং একাধিক বিভাগে তাঁরা নির্বাচিতও হয়েছেন৷
এই প্যানেল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনগুলি৷ নিয়োগে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ৷ যাঁরা যোগ্য চাকরি প্রার্থী, উচ্চ শিক্ষিত, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদে তাঁদের নিয়োগ না করে স্বজন পোষণ করা হয়েছে৷ এবিষয়ে হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান, সচিব এবং অন্যান্য আধিকারিকদের অবশ্য বক্তব্য, নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি৷ হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার সুর জানিয়েছেন একজন এমবিবিএস একাধিক বিভাগে আবেদন করতে পারেন৷ তবে তাঁর নিয়োগ হবে একটি মাত্র বিভাগে৷ হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সচিব তুষার পাত্র জানিয়েছেন আবেদন করতে স্পেশালাইজড ডিগ্রি লাগে না৷ সাধারণ এমবিবিএসরাও একাধিক পদে আবেদন করতে পারেন৷ প্রতিবারই এমন ঘটনা ঘটে৷ এটা নতুন কিছু নয়৷ সেই তালিকা পরবর্তী সময়ে সংশোধন করা হবে৷ জনৈক চিকিৎসক নির্দিষ্ট একটি পদে চাকরিতে ঢুকবেন৷ স্বাভাবিকভাবেই বাকি পদগুলি ফাঁকা হয়ে যাবে৷ সেই সময় শূন্যপদে নতুন করে নিয়োগ হবে৷
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় সংস্থায় ১৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, জেলায়-জেলায় কাজের সুযোগ
কিন্তু এই প্যানেলে বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছে চিকিৎসক সংগঠনগুলি৷ তাদের বক্তব্য, মিক্সোপ্যাথির থেকেও এটি নক্কারজনক কাজ৷ প্রকাশ্য দিবালোকে দুর্নীতি হচ্ছে৷ ডাক্তারি শাস্ত্র নিয়ে দয়া করা হচ্ছে৷ এক এক জন প্রার্থীর পাঁচ-সাত জায়গায়, এমনকী ১৩ জায়গায় নাম উঠেছে৷ তবে কি মেডিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থাকে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা৷ এই বিষয়ে ডেপুটেশন দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে৷ প্রয়োজনে আইনের সহায়তা নেওয়া হবে বলে তাদের হুঁশিয়ারি৷