কলকাতা: মারণ করোনা ভাইরাসে আজ আক্রান্ত গোটা বিশ্ব। করোনা শুধু মানুষের জীবনই কেড়ে নেয়নি, আঘাত হেনেছে অর্থনীতির উপর। বহু মানুষের রুজি রুটি বন্ধ হয়েছে৷ যখন শিল্পক্ষেত্র ধুঁকছে, অন্যান্য ক্ষেত্রে অগ্রগতির হার নিম্নমুখী, তখন সকলের মুখে অন্ন তুলে দিতে চলছে কৃষি কাজ৷ একমাত্র কৃষিক্ষেত্রে কোনও দিনও মন্দা দেখা দেবে না৷ করোনাই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ৷ এমনটাই জানালেন মহারাষ্ট্র ক্যাবিনেটের স্টেট প্রেসিডেন্ট শীর্ষ মান্না৷
আরও পড়ুন- ভুয়ো টিকাকেন্দ্রের মহিলা সহ ১০ পান্ডা গ্রেফতার
প্রসঙ্গত, অল ইন্ডিয়া অগ্রিকালচার স্টুডেন্টস অ্যাসেসিয়েশন (এআইএএসএ) একটি ডিজিটাল ন্যাশনাল ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছিল৷ যেখানে কেরিয়ার কাউন্সেলিং এবং কৃষিক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা নিয়ে আলোচনা করা হয়৷ এই ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষক উন্নয়ন মন্ত্রকের অতিরিক্ত কমিশনার ড. ওয়াইআর মীনা৷ আহ্বায়ক ছিলেন মান্না৷ কৃষির বিভিন্ন শাখার ছাত্রছাত্রীরা এই ওয়ার্কশপে উপস্থিত ছিলেন৷ যেখান থেকে তাঁরা তাঁদের কেরিয়ার সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারনা অর্জন করেন৷ মীনা বলেন, কৃষি হল মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি সায়েন্স৷ এর মধ্যে একাধিক শাখা রয়েছে৷ পিএম ফসল বীমা যোজনা, এটিএমএ-এর মতো প্রকল্প রয়েছে, যার থেকে কৃষকরা উপকৃত হতে পারেন৷ সিজিআইএআর, সিএসআইআর, এনবিআরআই, আইআইটি-আর, বোর্ড অফ কমার্সিয়াল ক্রপস, রিসার্চ স্নাতক এবং ডেভলপমেন্ট, মার্কেটিং ও কর্পোরেট ইন্ডাস্ট্রি, ব্যাঙ্কিং সেক্টর, সফটওয়্যার সেক্টরে বিটেক স্নাতকদের জন্য প্রচুর সুযোগ রয়েছে এখানে৷
আরও পড়ুন- ২৪-এ মোদীকে রুখতে কংগ্রেস ছাড়া বিকল্প শক্তি অসম্ভব, স্বীকারোক্তি পাওয়ারের
এআইএএসএ-র মুখ্য পসিলি উপদেষ্টা এবং ভারত সরকারের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ড. সহদেব সিং বলেন, ৭৫টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ২৩টিতে আইসিএআর-এর অনুমোদন রয়েছে৷ তবে কৃষি ক্ষেত্রে একটা বড় সুযোগ রয়েছে৷ তবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিএআর-এর অনুমোদন দেওয়া উচিত৷