মুম্বই: এবার সামনে এল মুম্বইয়ের ভুয়ো করোনা টিকাকরণ কেন্দ্রের ঘটনা। সেখানেও ভুয়ো করোনা টিকাকেন্দ্র খুলে মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছিল। জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্র থেকে কমপক্ষে ২০০০ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়েছে। মুম্বইয়ের এই ভুয়ো কেন্দ্রের কর্তারা কো-উইন অ্যাপের ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ডও দিয়েছিল টিকা গ্রহণকারীদের। তাঁরা বলেছিল, সেখানে ভ্যাকসিন নেওয়ার সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে। এই ঘটনায় পুলিশে সাতটি এফআইআর দায়ের হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই এক মহিলা-সহ ১০ জনকে গ্রেফতারও হয়েছে৷
মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, এই টিকাকেন্দ্রে টিকা গ্রহীতাদের ভ্যাকসিনের নামে স্যালাইন অথবা নুন জল দেওয়া হয়েছে। জয়েন্ট কমিশনার অফ পুলিশ বিশ্বাস নাঙ্গরে পাটিল জানিয়েছেন, ‘এই ঘটনায় টিকা দিয়ে প্রাপ্ত ১২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা গিয়েছে। মূল অভিযুক্ত মণীশ ত্রিপাঠী ও মহেন্দ্র সিংয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দেওয়া হয়েছে। এই সিন্ডিকেট আরও আটটি ক্যাম্প চালাচ্ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। এই অভিযুক্তরাই সমস্ত অপরাধের কান্ডারি বলেও জানা গিয়েছে।’
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই ভুয়ো ক্যাম্পে ‘কোভিশিল্ড’ নামে ব্যবহার করা টিকাগুলি গুজরাটের কোনও জায়গা থেকে আনা হয়েছিল। তবে সেই ভায়ালগুলির মধ্যে আসলে কী ছিল, তা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। এই বিষয়ে কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশের আধিকারিকরা৷ বাজেয়াপ্ত সমস্ত ভায়ালের ব্যাচ নম্বর ও শিপমেন্ট নম্বর বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ, দিন কয়েক আগেই দ্য হিরানন্দানি হেরিটেজ আবাসনেও বেসরকারি হাসপাতালের তরফে ভুয়ো টিকা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ একই অভিযোগ করেছেন ফিল্ম প্রযোজক রমেশ তৌরানির। সেখানেও ভুয়ো টিকা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। সম্প্রতি কলকাতার কসবায় ভুয়ো করোনা ভাইরাসের টিকাকরণ কেন্দ্রের ঘটনা সামনে আসে৷ সেখানে আবার এক সাংসদকে ভুয়ো টিকা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ এরপরই ঘটনাটি সামনে আসে৷