কলকাতা: বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগে মন্ত্রী-কন্যার পর আরও এক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। অভিযোগ, নবম-দশম শ্রেণির গণিত বিষয়ে সিদ্দিক গাজী নামে ওই প্রার্থীকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে নিয়োগ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন ৷ কিন্তু বুধবার বিচারপতি মান্থার এজলাসে শুনানির সময় রাজ্যের তরফে বলা হয়, অঙ্কের শিক্ষক সিদ্দিক গাজীকে নাকি আগেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। যা শুনে রীতিমতো বিস্মিত বিচারপতির। বিচারপতির প্রশ্ন, এই সিদ্ধান্ত যদি আগেই নেওয়া হয়ে থাকে তাহলে কেন তা আদালতকে জানানো হল না? মামলাকারীদেরই বা কেন সেই তথ্য দেওয়া হল না? পাশাপাশি সিদ্দিক গাজীর সমস্ত কাগজপত্র সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মন্থার। পাশাপাশি মামলাকারীর অনুপ গুপ্তর নিয়োগের বিষয়টিও বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ এছাড়াও ২০১৬-র নবম দশমের নম্বরের ব্রেক আপ প্রকাশ করা নিয়ে আগের দেওয়া নির্দেশ কার্যকর করতে হবে।
আরও পড়ুন- এটা কি মগের মুলুক? কার সুপারিশে চাকরি? চুত্তি ভিত্তিক শিক্ষক মামলায় ভর্ৎসনা হাই কোর্টের
অভিযোগ, মেধা তালিকায় ২৭৫ নম্বর স্থানে রয়েছেন সিদ্দিক গাজি৷ তিনি নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন এবং চাকরি করছেন৷ অথচ যিনি মেধাতালিকার ২০০ নম্বর স্থানে রয়েছেন সেই প্রার্থী চাকরি পাননি৷ ফলে এক্ষেত্রে ভুয়ো সুপারিশপত্র ও ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগ ওঠে৷ সেই মামলার শুনানিতে কার্যত প্রথম দিনই বিচারপতি রাজশেখর মান্থা চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন৷
উল্লেখ্য, কলকাতা হাই কোর্টের নিয়ম মেনে সম্প্রতি বিচারপতিদের বিচার্য বিষয় বদল হয়েছে৷ এবার থেকে এসএসসি’র যে মামলাগুলি রয়েছে সেগুলির শুনানি হবে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে৷ সেই মতোই এসএসসি-র একটি মামলার শুনানিতে স্কুল সার্ভিসের নবম-দশম গণিতের শিক্ষক সিদ্দিক গাজির চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হল মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>