এটা কি মগের মুলুক? কার সুপারিশে চাকরি? চুত্তি ভিত্তিক শিক্ষক মামলায় ভর্ৎসনা হাই কোর্টের

এটা কি মগের মুলুক? কার সুপারিশে চাকরি? চুত্তি ভিত্তিক শিক্ষক মামলায় ভর্ৎসনা হাই কোর্টের

কলকাতা:  এবার চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার৷ মামলাকারীর অভিযোগ, তাঁকে অন্যায় ভাবে  স্কুলের চুক্তিভিত্তিক চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘কার সুপারিশে চাকরি পেয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক?’’ বিচারপতি আরও বলেন,  ‘‘আপনাদের মতো লোকের জন্য ৯ বছর স্থায়ী পদে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি৷ আপনি পদ আটকে রেখেছিলেন৷ এটা কি মগের মুলুক?’’

আরও পড়ুন- প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী অবজ্ঞা করেছিলেন, অতিথি অধ্যাপকের পাশে দাঁড়ালেন বিচারপতি

নদিয়ার চুক্তি ভিত্তিক শিক্ষককে এই ভাবেই ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার৷ এই মামলায় বিচারপতি মান্থার প্রশ্ন হল, ওই শিক্ষক কার সুপারিশে চাকরি পেয়েছিলেন? তিনি কি স্থানীয় বিধায়কের সুপারিশে এই চাকরি পেয়েছিলেন? এই চুক্তিক্ষিত্তিক শিক্ষক পদের জন্য দীর্ঘ ৯ বছর স্কুলে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি৷ এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক৷ একজন চুক্তি ভিত্তিক শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাবেন৷ তার জায়গায় স্থায়ী নিয়োগ হবে না৷ এটা কি মগের মুলুক? 

প্রসঙ্গত, বাংলা বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন মামলাকারী নাসিরুদ্দিন শেখ৷ ১৯৯৮ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত নদিয়ার গয়েশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি৷ এর পর তাঁকে স্কুল থেকে বরখান্ত করা হয়৷ তাঁর অভিযোগ ছিল, কোনও কারণ ছাড়াই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে৷ তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবারও আবেদন করেন৷ স্কুল সাড়া না দেওয়ায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন৷ শুনানির সময় সরকারের তরফে বলা হয় তাঁকে পরিচালক সমিতির তরফ থেকে নিয়োগ করা হয়েছিল৷ কিন্তু নাসিরুদ্দিনকে কোনও রকম নিয়োগপত্র বা সুপারিশপত্র দেওয়া হয়নি৷ ফলে তাঁর এই নিয়োগের কোনও বৈধতা নেই৷ স্কুলে যোগ দেওয়ার সময়ও তাঁকে পরিষ্কার জানানো হয়েছিল, এটা অস্থায়ী পদ। কেউ একে স্থায়ী চাকরি বলে ধরে নিতে পারেন না। এর পরেই এদিন ওই শিক্ষকের মামলা খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷