কলকাতা: নবম-দশম শ্রেণীর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছে এসএসসি। মামলাটি গ্রহণ করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পডুন- সরকারি কর্মীদের জন্য সুখর! বাড়তে পারে অবসরের বয়স ও পেনশনের টাকা
গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। সেই কমিটি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করবে৷ আদালতের নির্দেশ, কার নির্দেশে সুপারিশ হয়েছিল, সেটা অনুসন্ধান করে বার করবে এই কমিটি৷ বেনিয়ম এবং দুর্নীতির তদন্ত করতে হবে। আদালতের বক্তব্য ছিল, কলকাতা পুলিশ বা রাজ্যের পুলিশ তদন্ত করতে পারত। কিন্তু তারা যেহেতু রাজ্যের অধীনে তাই নিরপেক্ষ তদন্ত দরকার।
শুক্রবার রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানালেও সেই আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। সোমবার সকালে ফের ডিভিশন বেঞ্চে এসএসসি’র তরফে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানানো হয়। মামলাটি গৃহীত হয়েছে৷ আগামীকাল মামলার শুনানি সম্ভাবনা৷
১লা নভেম্বর ২০১৯ সালে রাজ্য সরকারের গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটির বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ নবম-দশম শ্রেণীর এস এল এস টি নিয়োগে দুর্নীতির সঙ্গে কে বা কারা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তা অনুসন্ধান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>
এদিকে রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ উভয়েরই দাবি, তারা কেউই রেকমেন্ডেশন লেটার দেয়নি৷ তাহলে কী ভাবে নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ করা হল? কারা কারা চাকরি দিয়ে লাভবান হয়েছেন, তা অনুসন্ধান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।