SSC Group D: এখনই কোনও নিষ্পত্তি নয়, সময় চাই অনুসন্ধান কমিটির

SSC Group D: এখনই কোনও নিষ্পত্তি নয়, সময় চাই অনুসন্ধান কমিটির

কলকাতা: এসএসসির গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত দূর্নীতির তদন্ত মামলায় আরো চার মাস সময় চাইল তদন্ত কমিটি। উল্লেখ্য গ্রুপ ডি কর্মচারী নিয়োগ মামলায় প্রাক্তন বিচারপতি আর কে বাগের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি হরিশ ট্যাণ্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ দুমাসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু গত শুক্রবার বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগ কমিটির তরফে বিচারপতি হরিশ ট্যাণ্ডনকে একটি চিঠি লিখে আরো চার মাস সময় চেয়েছেন।

আরও পড়ুন- Budget 2022: NPS-এ বাড়ল কর ছাড়ের হার, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় ঘোষণা বাজেটে

সম্প্রতি স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি ‘ভুয়ো’ নিয়োগ বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ‘ভুয়ো’ নিয়োগে খরচ হওয়া সরকারের টাকা পুনরুদ্ধারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল আদালতের তরফে। মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে নিয়োগের অভিযোগে মামলা করা হয় হাইকোর্টে৷ এসএসসি রিপোর্ট দিয়ে জানায় চাকরির সুপারিশ তাদের নয়। নারাজোল এ এল খান বিদ্যালয়ে ‘ভুয়ো’ নিয়োগের অভিযোগ উঠেছিল। সমস্ত নথি বিচারবিভাগীয় অনুসন্ধান কমিটির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এসএসসিকে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে রাজ্যে গ্রুপ ডি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়৷ গ্রুপ ডি পরীক্ষার মাধ্যমে ১৩ হাজার নিয়োগ করা হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে ওইই গ্রুপ ডি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু অভিযোগ, মেয়াদ পেরনোর পরেও সেখান থেকে  একাধিক নিয়োগ হয়েছে৷ সুপারিশের ভিত্তিতে ২৫ জনের নিয়োগের অভিযোগ ওঠে৷ সেই তথ্য হাইকোর্টের হাতে এসে পৌঁছয়।

কিছুদিন আগে আবার এসএসসি’র বিরুদ্ধে ১১ দফার অভিযোগ আনেন একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণীর ৩২ জন চাকরিপ্রার্থী। যারা সকলেই চাকরি পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। অর্থাৎ নিয়োগ তালিকায় ওয়েটিংয়ে। এবার রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধেই কমিশনে অভিযোগ জানান শ্রীমন্ত মাইতি সহ ৩২ জন চাকুরী প্রার্থী। তাদের মূল অভিযোগ, নিয়ম না মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়েছে। আইন মেনে সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি পাশাপাশি শূন্যপদ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও বড় অভিযোগ, কাট অফ মাক্স জানানো হয়নি এমন কিছু চাকরিপ্রার্থীর নাম তালিকায় স্থান পেয়েছে যারা কিনা পরীক্ষায়তেই বসেননি! মামলাকারীদের থেকেও যারা কম নম্বর পেয়েছেন তাদের নিয়োগ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *