কলকাতা: কোনও সভা-সমিতি নয়, একেবারে বিধানসভা অধিবেশন থেকে এবার দ্রুত শিক্ষক পদ পূরণের প্রতিশ্রুতি দিল রাজ্য সরকার। পুজোর পর পরই রাজ্যের স্কুলগুলিতে প্রায় ৫৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। মঙ্গলবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, ছ’বছর পর নিয়োগ হতে চলেছে। এর জন্য নতুন নিয়োগবিধিও তৈরি করা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশ মেনেই যাবতীয় পদক্ষেপ করা হবে। কোন কোন বিভাগে কত শিক্ষক প্রয়োজন, তা জানার জন্য সমীক্ষা করা হবে৷
আরও পড়ুন- করোনার দোসর হয়েছে ডেঙ্গি, পুজোর আগে চিন্তা বাড়ছে বাংলার
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ১৮৭ জন প্রার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার বিষয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে রাজ্য সরকার। সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে ওই প্রার্থীদের তথ্য যাচাই এবং ভাইভাও হয়ে গিয়েছে। পুজোর আগেই উত্তীর্ণ প্রার্থীরে হাতে নিয়োগপত্র পেয়ে যাবেন৷ একই সঙ্গে শুরু হয়েছে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, প্রাথমিক বিদ্যালয় স্তরেই ২৫ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে সার্বিক নিয়োগ। এছাড়াও রয়েছে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদে নিয়োগের বিষয়টি। তবে এই বিষয়টি এখন বিচারাধীন৷
ইন্টারভিউয়ে ডাক না পাওয়া এবং পরে যোগ্য বলে বিবেচিত উচ্চ-প্রাথমিকে শিক্ষক পদপ্রার্থীর সংখ্যা ১,৫৮৫৷ আদালতের নির্দেশানুসারে তাঁদের ইন্টারভিউ নেবে কমিশন। আদালতে জমা দেওয়া এফিডেভিটে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ইন্টারভিউ নেওয়ার সাত দিন আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। ইন্টারভিউ শেষ করতে ছ’ থেকে আট দিন সময় লাগবে। সমস্ত কাজ শেষ হওয়ার পর আদালত কোনও আপত্তি না থাকলে ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদে নিয়োগে আর কোনও বাধা থাকবে না। এরপরও বাকি থেকে যাচ্ছে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের নিয়োগের বিষয়টি। তার আগে রয়েছে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ। সব মিলিয়ে প্রায় ৫৫ হাজারের কাছাকাছি নিয়োগ করা হবে স্কুলে৷