কলকাতা: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ ছিল যে, এই ২৬৯ জনকেই বেছে বেছে ১ নম্বর বেশি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন আরও বিস্ফোরক এক তথ্য প্রকাশ্যে এল। কলকাতা হাইকোর্টের কাছে খোদ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, ২৬৯ জন নয়, বাড়তি এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল ২৭৩ জনকে! এই নিয়ে এখন নতুনভাবে শোরগোল।
আরও পড়ুন- এটা কি মগের মুলুক? কার সুপারিশে চাকরি? চুত্তি ভিত্তিক শিক্ষক মামলায় ভর্ৎসনা হাই কোর্টের
আদালতে ঠিক কী জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ? তাদের বক্তব্য, টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল রয়েছে, তাই নম্বর বাড়ানো হোক, এমন দাবি তুলে তাদের কাছে আসে প্রায় ২ হাজার ৭৮৭ টি আবেদনপত্র। তাদের মধ্যে থেকেই ২৭৩ জন প্রশিক্ষিত প্রার্থীকে বাড়তি এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল। মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল, ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে বেছে বেছে এই ২৬৯ জনকে ১ নম্বর বেশি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পর্ষদ এখন জানাচ্ছে, ২০১৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে যে পরীক্ষা হয় তার অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা তাদের কাছে ছিল না। এত সংখ্যক অনুত্তীর্ণদের খুঁজে বের করে নম্বর বাড়ানো সম্ভব হয়নি। তাই যারা নম্বর বাড়ানোর আবেদন করেছিল তাদেরকেই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আগেই এই ২৬৯ জনের চাকরি বরখাস্ত করে তাদের বেতন বন্ধ করার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি আদালতের তরফে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তারা স্কুলে প্রবেশ করতে পারবেন না কেউই।