কলকাতা: এই পৃথিবীতে এমন কিছু ঘটে যাকে আমরা বিরল হিসেবে ধরি। এমন কিছু যা সহজে মানা সম্ভব হয় না। এই যেমন রক্তের গ্রুপ। আমরা সাধারণত চারটি রক্তের গ্রুপ সম্পর্কে জানি, A, B, O এবং AB। আবার একটি রক্তের গ্রুপ রয়েছে যা এখন চর্চিত, তা হল ‘বম্বে ব্লাড গ্রুপ’। কিন্তু সোনালি রক্তের কথা কি কেউ শুনেছে? হয়তো অনেকেই শোনেনি। কিন্তু এই রক্তও আছে দুনিয়াতে, তাও আবার মানুষের শরীরে বইছে। এমন রক্তের গ্রুপের খোঁজ মিলেছিল এক সময়।
আরও পড়ুন- অতিমারী পর্বে আরও ধনী বিশ্বের ধনকুবেররা, সম্পত্তি বেড়েছে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার
রক্তের গ্রুপ নির্ধারণে ‘আর এইচ’ ফ্যাক্টর রয়েছে। সাধারণত রক্ত পজিটিভ নাকি নেগেটিভ হবে, তা নির্ভর করে এর ওপর। এটি থাকলে রক্ত পজিটিভ, না থাকলে নেগেটিভ। কিন্তু এমন রক্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল যাকে পজিটিভ বা নেগেটিভ কিছুই বলা যাবে না। এই রক্তের নাম হল ‘গোল্ডেন ব্লাড’, বা সোনালি রক্ত। আবার একে ‘Rh-null’ রক্তও বলা হয়। সর্বপ্রথম ১৯৬০ সালে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলার শরীরে এমন রক্তের খোঁজ পাওয়া যায়। গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতি ৬০ লক্ষ মানুষের মধ্যে ১ জনের এই রক্ত থাকতে পারে। এই মুহূর্তে পৃথিবীতে মাত্র ৪৩ থেকে ৪৯ জন মানুষ রয়েছেন, যাঁদের এই রক্ত রয়েছে বলে জানা যায়, অর্থাৎ ৫০ জনের কম মানুষের শরীরে এই রক্ত আছে। বোঝাই যাচ্ছে যে এই রক্ত কতটা দুর্লভ। আর এই কারণেই এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি রক্ত।
চিকিৎসকরা আরও জানাচ্ছেন, মূলত জিনগত কারণেই এই ধরণের রক্ত মানুষের শরীরে দেখতে পাওয়া যায়। তাই যাদের এই রক্ত রয়েছে, তারা শুধুমাত্র এই একই ধরনের রক্তের মানুষের থেকেই রক্ত পেতে পারেন। অন্য কোনও গ্রুপের রক্ত তারা নিতে পারবেন না, তাতে বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এই রক্ত যাদের আছে তারা পৃথিবীর যে কোনও মানুষকে রক্ত দিতে পারেন।