নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ যখন গত বছর শুরু হয় তার পরবর্তী ক্ষেত্রে লকডাউন কার্যকরী হয়ে যায় গোটা দেশজুড়ে। সেই সময়ে বিয়ে বাড়ি থেকে শুরু করে যে কোন অনুষ্ঠান বাড়িতে নিমন্ত্রিতদের ডাকার নিয়ম করা হয়। সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় যাতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বৃদ্ধি না ঘটে। কিন্তু হালে এখন সেই নিয়ম কার্যকরী নয়। বিয়ে বাড়ি থেকে শুরু করে যে কোন অনুষ্ঠান বাড়িতে দেদার জমায়েত হচ্ছে, আর এই কারণেই বাড়ছে ভাইরাসের সংক্রমণ, এমনই দাবি করছেন নীতি আয়োগের সদস্য ড: ভি কে পল। তাঁর বক্তব্য, পারস্পরিক দূরত্ব মানা তো দূর, মানুষ মাস্ক পর্যন্ত ব্যবহার করছেন না। এদিকে বিয়ে বাড়িতে লাগামছাড়া জমা হচ্ছে। সেই কারণে সংক্রমণ বাড়ছে।
তিনি আরো বলছেন, লকডাউন কার্যকরী হওয়ার সময় বিয়ে বাড়ি সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাড়িতে নিমন্ত্রিতদের সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি কিঞ্চিৎ নিয়ন্ত্রণে আসতেই লাগামছাড়া জমায়েত বৃদ্ধি পেয়েছে। কোন নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না কেউ, মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন না মানুষ এবং পারস্পরিক দূরত্ব পর্যন্ত বজায় রাখছেন না। সেই কারণে দেশের একাধিক জায়গায় বিয়ে বাড়িতে গিয়ে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসছে। গোটা দেশজুড়ে এই লাগামছাড়া জমায়াতের ফলেই সংক্রমণ বৃদ্ধি হচ্ছে বলে দাবি নীতি আয়োগ সদস্যের। তাঁর আরও বক্তব্য, দেশের সংক্রামিতের ৭০-৮০ শতাংশ উপসর্গহীন, তাই আদতে কারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত সেটা বোঝা যাচ্ছে না, তাই আরো দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। যদি এই ধরনের জমায়েত নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তাহলে আগামী দিনের সংক্রমণ আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- ‘ছেঁড়া জিনস’ ইস্যুর আবহেই মেয়েদের পোশাক নিয়ে ফের বিতর্কিত মন্তব্য চিরঞ্জিতের
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, দেশের সব মানুষ করোনাভাইরাস টিকা পাবেন না। তাদের বক্তব্য, করোনাভাইরাস যে ধরনের ভাইরাস তাতে সব মানুষের টিকা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ৬০-৭০ শতাংশ মানুষ যদি তা নেন তাহলেই এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকানো সম্ভব। কারণ সেই শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যাবে করোনার। তাই আরো বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে স্বাভাবিকভাবেই। সেই কারণে দেশের প্রত্যেকটি মানুষকে করোনাভাইরাস টিকা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে স্পষ্ট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।