নয়াদিল্লি: আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই যে শিশুদের জন্য করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন চলে আসছে তা আগেই দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সেই অনুমান আরো স্পষ্ট হলো কারণ বায়োলজিক্যাল ই-র করোনাভাইরাস টিকার পরবর্তী পর্যায়ে ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। হায়দরাবাদের এই সংস্থার তৈরি ভ্যাকসিনের এবার ২/৩ পর্যায়ের ট্রায়ালের শুরু হবে। ৫ থেকে ১৮ বছরের শিশুদের ওপর এই ট্রায়াল করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ঘাটতি মেটাতে বাজার থেকে ভ্যাকসিন সিরিঞ্জ কিনল কলকাতা পুরসভা
এর আগেই এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছিলেন যে, শিশুদের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরি করছে ‘কোভ্যাক্সিন’ প্রস্তুতকারী ভারত বায়োটেক। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই শিশুদের জন্য করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন চলে আসবে। সেপ্টেম্বর মাসে শিশুদের জন্য তৈরি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ট্রায়াল সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে। এখন আবার বায়োলজিক্যাল ই-র ভ্যাকসিন আসতে পারে বলেও খবর। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই টিকা সাধারণ মানুষের নাগালে চলে আসবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, আপাতত প্রাপ্ত বয়স্কদের উপর ইতিমধ্যেই এই টিকার ট্রায়ালে বেশ ভালো ফল দেখা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে যে, এই টিকার ৩০ কোটি ডোজ কেনার জন্য ভারতীয় সংস্থা বায়োলজিকাল-ইয়ের সঙ্গে ইতিমধ্যেই চুক্তি চূড়ান্ত করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন- কবে ভ্যাকসিন পাবে শিশু-কিশোররা? স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্র
সম্প্রটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, ভারতে এখন করোনাভাইরাস এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে মনে করা হচ্ছে পরিস্থিতি এখন অতিমারি পর্যায়ে নেই। অর্থাৎ ভারত এখন অতিমারি কাটিয়ে তুলনামূলক নিয়ন্ত্রিত জায়গায় পৌঁছচ্ছে। আসলে যে সময়ে মানুষ ভাইরাস কে সঙ্গে নিয়ে বাঁচতে শিখে যায় এবং ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই জীবন কাটায় সেই পর্যায় কে বলা হয় ‘এন্ডেমিক।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি ভারত এখন এমন পর্যায়ে রয়েছে। যদিও যে তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে আশঙ্কা সেখানে অনেক শিশু আক্রান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই আপাতত শিশুদের ভ্যাক্সিনেশন শুরু হওয়া মানে অনেকটাই স্বস্তি।