কলকাতা: আক্রান্তের সংখ্যা ২০২০-২১ সালের মতো না হলেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যে চলে গিয়েছে তা ভাবা ভুল। এখনও এই রোগ আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছে সব জায়গায়। দেশের একাধিক রাজ্যে দিনপ্রতি আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বিরাট মাত্রায় না বাড়লেও ভয় পাইয়ে রাখার মতো আছে। এরই মধ্যে আবার কোভিডের অন্যান্য উপসর্গ মাঝে মাঝে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ঠিক যেমন ‘কোভিড কাশি’ নিয়ে এখন চিন্তা বাড়ছে সাধারণের।
আরও পড়ুন: ২৬/১১-এর স্মৃতি ফিরবে! পাকিস্তানি নম্বর থেকে পুলিশের কাছে এল হুমকি
সাধারণভাবে দেখতে গেলে সর্দি-কাশির মূল উপসর্গের সঙ্গে কোভিডের উপসর্গের তেমন কোনও তফাৎ নেই। অর্থাৎ এক লহমায় বোঝা মুশকিল যে কোনটা কোভিডের কাশি আর কোনটা সাধারণ সর্দির। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মধ্যেও সূক্ষ্ম একটা তফাৎ রয়েছে। জানান হয়েছে, সাধারণ কাশি ৬-৭ দিনের মধ্যেই সেরে যায়। কিন্তু কোভিড কাশি দীর্ঘস্থায়ী। প্রথমে হালকা ভাবে শুরু হলেও মাঝে কমে গিয়ে তা আবার শুরু হতে পারে এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে। একটা সময়ে কাশি থামার লক্ষণ দেখা যাবে না। তখনই বুঝতে হবে যে, সাধারণ কাশির থেকে এই কাশি আলাদা।
চিকিৎসকদের মতে, এই ধরণের কাশি হলে গলা তো বটেই বুক, মাথা, চোখ সব ব্যাথা হতে শুরু করে। আসলে টানা কাশি হলে গা-হাত-পা ব্যাথা হয়ে যায় তাই সারা শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তবে তা সাধারণ কাশির জন্যও হয়। তাহলে কী ভাবে বুঝবেন কোনটা ‘কোভিড কাশি’? তার কিছু উপায় আছে। মনে রাখতে হবে, শুষ্ক প্রকৃতির কাশি যখন দীর্ঘস্থায়ী হবে তখন খেয়াল রাখতে হবে। সময়ে সময়ে কাশির তীব্রতা বাড়বে এবং ক্লান্তি বাড়বে শরীরে। একই সঙ্গে কাশির সঙ্গে ঘন ঘন দীর্ঘ নিঃশ্বাসও পড়বে। তাই এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে বলেই মত।