নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠেছে গোটা বিশ্ব কিন্তু এখন তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। সেই প্রেক্ষিতে টিকাকরণে জোর দিচ্ছে প্রত্যেকটি দেশ কারণ মনে করা হচ্ছে ভ্যাকসিন নতুন প্রজাতিগুলির সঙ্গে লড়তে সক্ষম হবে। যদিও এরই মধ্যে আরও আশঙ্কাজনক খবর সামনে এলো। জানা গিয়েছে আরও একটি নতুন করোনাভাইরাস প্রজাতির সন্ধান মিলেছে যা আরো বেশি সংক্রামক এবং ভ্যাকসিনের সুরক্ষাকে সহজেই নষ্ট করে দিতে পারে। আপাতত এই খবরে চিন্তার ভাঁজ বিশ্বের গবেষক এবং চিকিৎসক মহলে।
আরও পড়ুন- আরও দুই BJP বিধায়ক তৃণমূলে? জল্পনায় বিশ্বজিৎ দাস
জানা যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বিশ্বের অনেক দেশে এই প্রজাতি শনাক্ত করা গিয়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কমিউনিকেবল ডিজিজেস এবং দক্ষিণ আফ্রিকার kwazulu-natal রিচার্জ ইনোভেশন এন্ড সিকোয়েন্সিং প্ল্যাটফর্মের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, করোনাভাইরাস নতুন এই প্রজাতির অন্যান্য প্রজাতির থেকে অনেক বেশি বার মিউটেশন ঘটেছে। এবং আপাতত ইংল্যান্ড থেকে শুরু করে নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল এবং সুইজারল্যান্ড সহ আরো বেশ কয়েকটি দেশে এই প্রজাতির খোঁজ মিলেছে। মনে করা হচ্ছে এটি করোনাভাইরাস অন্যান্য প্রজাতির থেকে অনেক বেশি সংক্রামক এবং ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা অনেক বেশি কমিয়ে দিতে পারে। কারণ এর স্পাইক প্রোটিনে অনেকবার মিউটেশন হয়েছে তাই জন্যই প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে এটি নিজেকে রক্ষা করতে পারবে। তাই চিকিৎসক মহল সকলকে আরো বেশি সতর্ক থাকার এবং করোনাভাইরাস নিয়ম বিধি মানার নির্দেশ দিচ্ছে।
আরও পড়ুন- উপাচার্যের বাড়ির সামনেই ছাত্রীদের শ্লীলতাহানী, উত্তাল অশান্তির আগুনে দগ্ধ বিশ্বভারতী
এর আগেও জানা গিয়েছিল যে, ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে সবথেকে কম কার্যকরী। যারা এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন তারা ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা পাবেন সর্বাধিক তিন মাস বলে মনে করছেন গবেষকরা। তারা এও জানাচ্ছে যে, করোনাভাইরাস আলফা প্রজাতির বিরুদ্ধে এই দুটি ভ্যাকসিন যতটা কার্যকরী তার থেকে অনেক কম কার্যকরী ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে।