নয়াদিল্লি: ২০১৯ সালের শেষের দিক থেকেই করোনার দাপট প্রায় শুরু হয়ে গিয়েছিল। ভারতে এর বাড়বাড়ন্ত দেখা যায় ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর থেকে। তবে এখন ২০২২ সালে করোনা রোধে প্রায় ১৭০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। নতুন কয়েকটি প্রজাতি দেখা দিয়েছে বটে, তবে আপাতত দেশের কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে, যা মাঝে খারাপ হয়েছিল। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে করোনার বিরুদ্ধে। আর এবার বাজারে এল ‘ন্যাজাল স্প্রে’। যার দ্বারা সংক্রমণ ৯৯ শতাংশ কমিয়ে ফেলা সম্ভব বলে দাবি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ক্ষমতা বাড়াচ্ছে ওমিক্রন, প্রাণীদের শরীরেও সংক্রমণ!
মুম্বই ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ওষুধ প্রস্তুত সংস্থা গ্লেনমার্ক ও স্যানোটাইজের অংশীদারিত্বে ভারতের বাজারে এসেছে নাইট্রিক অক্সাইড ‘ন্যাজাল স্প্রে’। প্রাপ্ত বয়স্ক করোনা রোগীর চিকিৎসায় এই স্প্রে ব্যবহার করা যাবে বলেই জানান হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, এই স্প্রে ২৪ ঘণ্টা ব্যবহার করে ভাইরাসের সংক্রমণ ৯৪ শতাংশ এবং ৪৮ ঘণ্টা ব্যবহার করে সংক্রমণের হার ৯৯ শতাংশ কমিয়ে ফেলা সম্ভব। এখন যে স্প্রে বাজারে এসেছে তাকে ‘ফ্যাবিস্প্রে’ বলা হচ্ছে। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার তরফে একে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কোভিড চিকিৎসায় স্বাভাবিকভাবেই নতুন মোড়। নাক দিয়ে স্প্রে নিলেই সংক্রমণ আটকানো সম্ভব হবে। সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে যে, এই নাইট্রিক অক্সাইড ন্যাজাল স্প্রে নিরাপদ এবং ট্রায়ালে কোনও রকম সমস্যা দেখা যায়নি।
ভ্যাকসিন এবং এই ধরণের স্প্রে’র ব্যবহার যে বাড়বে তা স্পষ্ট কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আবার হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে যে, আগামী দিনে কোভিডের যে পরিবর্তিত রূপ আসতে চলেছে, সেটি ওমিক্রনের চেয়েও অনেক বেশি ক্ষতিকর ও সংক্রামক হতে পারে। কোভিডের নয়া রূপ নিশ্চিত ভাবেই চিন্তার কারণ হবেষ কারণ এটা অনেক বেশি সংক্রামক হতে চলেছে। যা বর্তমান সবকটি রূপকে ছাপিয়ে যেতে পারে। তবে আসল প্রশ্ন হল, কোভিডের আসন্ন রূপগুলির মারণ ক্ষমতা কতটা বেশি হবে।