কলকাতা: গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে করোনার ওমিক্রন প্রজাতি দাপট দেখাতে শুরু করেছিল গোটা বিশ্বজুড়ে। বলা হয়েছিল যে এটি ডেল্টা প্রজাতির থেকেও বেশি সংক্রামক, যা কার্যত প্রমাণিত হয়েছে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে ব্যাপক মাত্রায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে সর্বত্র। কিন্তু মাস দুয়েক বাড়বাড়ন্ত হলেও এখন আপাতত কিছুটা কম ওমিক্রনের দৌরাত্ম্য। অনেকেই ভাবছেন এটা ভালো ব্যাপার। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে উলটো কথা। দাবি করা হচ্ছে, ওমিক্রন আসলে নিজের শক্তি বাড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন- গণতন্ত্র নিয়ে যে কথা বলছে তাঁর হাতেই রক্ত! মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর
আমেরিকার ‘পেনন স্টেট ইউনিভার্সিটি’র গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই ভাইরাসের নিজেকে বদলানোর হার বাড়ছে। এতদিন মনে করা হত যে, ওমিক্রন শুধুমাত্র মানুষের দেহে সংক্রমণ ছাড়তে পারে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মানুষ ছাড়া অন্য জীবের মধ্যে হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু হালে এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে। গবেষকদের মতে, মানুষ ছাড়িয়ে অন্য প্রাণীর মধ্যেও অতিমারির সৃষ্টি করছে এই ওমিক্রন প্রজাতি। আমেরিকার বেশ কিছু হরিণের শরীরে এই ভাইরাসের হদিশ মিলেছে যা চিন্তা বাড়াচ্ছে সকলের। এর আগে প্রাণীদের মধ্যে সংক্রমণ হলেও তা বাড়াবাড়ি মাত্রা নেয়নি। কিন্তু তা হলেও হতে পারে বলেই ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে। আর তা যদি হওয়া শুরু হয় তাহলে আগামী দিনে এই ওমিক্রন আরও মারাত্মক আকার নেবে বলেই অভিমত।
যুক্তি দিয়ে বলা হচ্ছে, অন্য প্রাণীর মধ্যে ওমিক্রন যাওয়া মানে সেখানে তার মিউটেশন হওয়া। অর্থাৎ রূপ আরও বেশি বদল হবে ভাইরাসের। সেক্ষেত্রে অন্যান্য প্রাণীদের থেকে মানুষের দেহে তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল এবং তা হলে অবশ্যই সমস্যা বাড়বে মানুষের। কারণ ভাইরাসের যত বেশি মিউটেশন হবে ভাইরাস তত বেশি সংক্রামক হবে। তাই আপাতত চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে ওই হরিণের প্রজাতির মধ্যে ভাইরাস বেশি না ছড়িয়ে পড়ে। একই সঙ্গে ওমিক্রন নিয়ে আরও বিস্তারিতভাবে গবেষণা শুরু হয়েছে।