নয়াদিল্লি: ২০২০ সকলের কাছে আতঙ্কের বছর। সেই আতঙ্ক কাটিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছিল বিশ্ববাসী। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে মনে করা হয়েছিল কারণ একাধিক দেশ করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন প্রজাতির করনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় আবার উদ্বেগ বেড়েছে ভাইরাস নিয়ে। ভারতেও এই নিয়ে আতঙ্ক কম নয়। শেষ কয়েক দিনে সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা হলেও কম ছিল, কিন্তু শেষ ২৪ ঘন্টায় চলতি বছরের আপাতত সর্বাধিক সংক্রমণ ঘটে গিয়েছে ভারতে। আক্রান্ত হয়েছেন ২৪,৮৮২ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, শেষ একদিনে ভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়ার সংখ্যা ১৯,৯৫৭, এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ১৪০ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ১ , ১৩ , ৩৩ , ৭২৮ জন। সব মিলিয়ে দেশে এখন অ্যাক্টিভ করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২,০২,০২২, মোট মৃত্যু ১,৫৮, ৪৪৬। আর এখনও পর্যন্ত মোট টিকাকরণ হয়েছে ২, ৮২, ১৮, ৪৫৭ জনের। সবচেয়ে উদ্বেগজনক ব্যাপার হল, গোটা দেশের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সিংহভাগ সংক্রমণ মহারাষ্ট্রের। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৮১৭ জন। সেই রাজ্যের একের পর এক জেলায় হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে পুনরায় লকডাউন কার্যকরী হওয়ার উপক্রম হয়েছে মহারাষ্ট্রে। এদিকে, নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এর পাশাপাশি পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার জন্য সাধারন মানুষ যেভাবে অসচেতন হয়ে পড়েছেন সেটিও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিকিৎসক মহলে।
আরও পড়ুন- সিপিএম এবার ‘হাতিয়ার’ করল লুঙ্গি ডান্সকে! টুম্পার পর নতুন প্যারোডি গান
ইতিমধ্যে করোনাকে দূর করতে বাজারে এসেছে একাধিক ভ্যাকসিন। অক্সফোর্ড, ফাইজারের পর এবার জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি ভ্যাকসিনকেও বাজারে নামার ছাড়পত্র দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দীর্ঘ দিন ধরেই এই আমেরিকান কোম্পানির তৈরি কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছিল। অবশেষে একে মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকরী ঘোষণা করেছে হু। জানা গেছে, মূলত পিছিয়ে পড়া দেশ যেখানে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অপেক্ষাকৃত দুর্বল সেই সমস্ত দেশে বেশি কার্যকরী হবে এই নতুন করোনা ভ্যাকসিন। এই নিয়ে তৃতীয় কোনো ভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পেয়েছে। এর আগে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফাইজার কোম্পানির তৈরি করোনা টিকাকে ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে হু।