নয়াদিল্লি: প্রথম ঢেউ এবং চলতি বছরের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক এখনো পুরোপুরি কাটেনি ভারতের। এরই মাঝে ইতিমধ্যে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ নিয়ে একাধিক রিপোর্ট সামনে এসেছে। মনে করা হচ্ছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই করোনা তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে দেশে। এই পরিপেক্ষিতে এবার নতুন তথ্য সামনে এলো আরো চিন্তা বাড়িয়ে দিল দেশের মানুষের। আইআইটি কানপুর জানাচ্ছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দৈনিক সংক্রমণ হতে পারে প্রায় ৫ লক্ষ! আগামী সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ সবথেকে ভয়ঙ্কর হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ নিয়ে ইতিমধ্যে একটি গবেষণা চালিয়েছে কানপুর আইআইটি। তাদের সেই গবেষণায় উঠে এসেছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ছে ভারতের এবং দৈনিক ৫ লক্ষের বেশি মানুষ আক্রান্ত হবেন। একইসঙ্গে মৃত্যুর হার বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা। যদিও এই গবেষণা মূলত তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে করা হয়েছে। প্রথমত, টিকাকরণকে বাদ রাখা হয়েছে পরিসংখ্যান থেকে। দ্বিতীয়ত, অনুমান করা হয়েছে যে দেশের সব মানুষের সংক্রমিত হওয়ার মাত্রা একই। তৃতীয়ত, ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে গোটা দেশে লকডাউন উঠে যাবে এবং জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হবে। এই তিন বিষয় মাথায় রেখে গবেষণা করা হয়েছে এবং অনুমান করা হচ্ছে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ তুলনামূলক কম ভয়ঙ্কর হলেও দেশের মানুষের চিন্তা বাড়াবে। তবে প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় অনেক বেশি ভয়ঙ্কর হবে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ।
আরও পড়ুন- সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করেছেন রাজ্যপাল, লোকসভার স্পিকারের কাছে নালিশ অধ্যক্ষ বিমানের
এদিকে আবার, করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতির ‘ডেল্টা প্লাস’ সংক্রমিত করেছে ২২ জনকে। নতুন এই প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্রের ১৬ জন, এবং কেরল আর মধ্যপ্রদেশ মিলিয়ে ৬ জন। এই নতুন করোনাভাইরাস প্রজাতি নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক রিপোর্ট বেরিয়েছে। আশঙ্কা প্রকাশ করে জানানো হয়েছে যে এই ‘ডেল্টা প্লাস’ ভ্যাকসিনকে পরাস্ত করতে সক্ষম। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক দাবি করছে, ভারতের দুটি ভ্যাকসিন এই নতুন প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়তে সম্পূর্ণ সক্ষম। যদিও দুটি ভ্যাকসিনের ক্ষমতা কতটা সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে আশঙ্কার ব্যাপার, ভারত ছাড়াও পৃথিবীর মোট নয়টি দেশে এখন এই করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।