সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করেছেন রাজ্যপাল, লোকসভার স্পিকারের কাছে নালিশ অধ্যক্ষ বিমানের

সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করেছেন রাজ্যপাল, লোকসভার স্পিকারের কাছে নালিশ অধ্যক্ষ বিমানের

কলকাতা:  রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত কোনও নতুন ঘটনা নয়৷ কিন্তু এবার রাজ্যপালের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ালেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন তিনি৷ রাজ্যপাল বিধানসভার অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তাঁর। 

আরও পড়ুন- আরও দৃঢ় সম্পর্ক! ‘বৈশাখী শোভন বন্দ্যোপাধ্যায় বলে কেউ ডাকলে ভালো লাগে’

এদিন বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভার অধ্যক্ষদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা৷ ওই বৈঠকেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, বিধানসভার কাজে রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করতে পারেন না৷ এটা তাঁর এক্তিয়ারের বাইরে৷ রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছেন বলেও অভিযোগ করেন বঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ৷ শুধু এটুকুই নয়, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিল আটকে রাখার অভিযোগও তোলা হয়েছে৷ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল সাক্ষরের জন্য রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হলে তিনি তা সাক্ষর না করেই ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছেন৷  ফলে বকেয়া বিলের পাহাড় জমছে৷

এদিকে রাজ্যে ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কিছু দিন সরব হয়েছেন রাজ্যপাল৷ দিল্লি থেকে ফিরে সোজা উত্তরবঙ্গে চলে গিয়েছেন তিনি৷ দার্জিলিং পৌঁছনোর আগে বাগডোগড়া বিমানবন্দর থেকে এক হাত নেন মুখ্যমন্ত্রীকে৷ ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কেন চুপ রয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷ এদিন রাজ্যপালের নামে পাল্টা অভিযোগ ঠুকলেন বিধানসভার স্পিকার৷   
 

আরও পড়ুন- জোড়া ঘূর্ণাবর্তের দাপটে এখনই মিলবে না রেহাই, চলবে নাগারে বৃষ্টি

পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে আট দফায় বিধানসভা নির্বাচন করার জন্যও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, ২০২০ সালে আট জন বিধায়কের মৃত্যু হয়েছে৷ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মারা গিয়েছেন ২ জন বিধায়ক৷ উল্লেখ্য রাজ্যপালকে এখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনবার  চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *