লন্ডন: সবথেকে বড় সুখবর যেন এটাই। ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর থেকে বিশ্ববাসীর জীবন একা দায়িত্ব নিয়ে বদলে দিয়েছে করোনা ভাইরাস। সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার, দিনে দিনে বেড়েছে। তবে এখন টিকাকরণ শুরু হয়ে যাওয়ার পর থেকে মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছে। তবে সেই স্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক গবেষক। তাঁর দাবি, ধীরে ধীরে সাধারণ ‘ফ্লু’ ভাইরাসে পরিণত হচ্ছে করোনা, হারাচ্ছে মারণক্ষমতাও। তবে এর কারণ কী?
আরও পড়ুন- ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে কমিশনের হলফনামা নিয়ে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্ট জানাচ্ছেন, জিনের গঠনমূলক পরিবর্তনের ফলেই এমনটা হতে চলেছে। ভবিষ্যতে করোনার আরও বেশি প্রাণঘাতী হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই কম বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি আরও বলছেন, আগামী দিনগুলিতে করোনা ভাইরাস আরও দুর্বল হতে থাকবে এবং শেষমেষ সেটি সাধারণ ‘ফ্লু’ ভাইরাস হয়ে থেকে যাবে। অন্যদিকে, মারণক্ষমতাও হ্রাস পাবে এই ভাইরাসের। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে সাক্ষাতকার এবং ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় অংশ নিয়েই এমনটা জানিয়েছেন ডেম। তাঁর আরও দাবি, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার ফলে ভাইরাসের ক্ষমতা লোপ পায়। তবে সে সংক্রমণ ক্ষমতা ততটা হারাবে না বলেই অনুমান। অর্থাৎ, পরবর্তী কয়েক বছরে করোনা সংক্রমণ তেমন হ্রাস পাবে কিনা, এখন থেকে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন- খরচ কোটিতে! উপনির্বাচনের ব্যয় নিয়ে আদালতে প্রশ্নের মুখে কমিশন
তবে এর মাঝেও বিপদসঙ্কত যে, এই বছর করোনার সঙ্গে ফ্লু ভাইরাস অর্থাৎ ইনফ্লুয়েঞ্জাও অন্যান্য বছরের থেকে বেশি বৃদ্ধি পাবে। এটিকেই বলা হচ্ছে, ‘টুইনডেমিক’, অর্থাৎ দুটি মহামারি একসঙ্গে। আমেরিকার পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় এই তথ্য সামনে এসেছিল। সেই গবেষণাকে প্রাধান্য দিয়েই বলা হচ্ছে যে, চলতি বছর এই ‘টুইনডেমিক’ বড় আকার ধারণ করতে পারে বিগত বছরগুলির তুলনায়। সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকে শুরু হতে পারে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের দাপট। শীতকাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে সেটি। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার ঠিক এই সময়েই করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার কথা রয়েছে। সুতরাং আশঙ্কা যদি সত্যি হয় তাহলে এই একই সময়ে দুটি ভাইরাস দাপট দেখাবে!