নয়াদিল্লি: ২০২০ সাল থেকে গোটা বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে এক লহমায়। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ গোটা বিশ্বের জীবনধারণকে বদলে দিয়েছে। এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাস থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়নি। মাসের পর মাস ধরে লড়াই চলছে। গবেষকদের মতে প্রত্যেক ১০০ বছর অন্তর মহামারী আসে পৃথিবীতে। কিন্তু গবেষকদের একাংশ বলছে, আজ থেকে প্রায় ২৫ হাজার বছর আগেও পৃথিবীতে হানা দিয়েছিল মারণ ভাইরাস! তখন ভুগেছিল গোটা এশিয়া মহাদেশ। মৃত্যু মিছিল হয়েছিল সেখানে।
আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনা এবং অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাডিলেডের গবেষকরা বলছেন, আজ থেকে ২৫ বছর আগে যে মহামারী এসেছিল তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল এশিয়ার। এবং মনে করা হচ্ছে সেই সময়ে যে ভাইরাস সংক্রমণ ঘটিয়েছিল সেটার সঙ্গে বর্তমান করোনাভাইরাসের মিল রয়েছে। কারণ তখন সেই মহামারীর বিরুদ্ধে মানবদেহে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছিল বর্তমানে করোনার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা প্রতিরোধ ক্ষমতার মিল রয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই মনে করা হচ্ছে যে সেই সময় হয়তো করোনাভাইরাসের অন্য রূপ হানা দিয়েছিল মহামারী আকারে। গবেষকরা মনে করছেন, অতীতের মহামারীর প্রভাবে মানবদেহে জিনের যে বিবর্তন ঘটেছে তার সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া গেলে করোনাভাইরাস একাধিক প্রজাতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এর আগে পৃথিবীতে একাধিকবার একাধিক রকমের ভাইরাসের হানা হয়েছে, তার একাধিক উদাহরণ এবং তথ্য সকলের সামনে আছে। তবে এত বছর আগে করোনাভাইরাসের মতই অন্য এক ভাইরাসের উপস্থিতি সত্যি সত্যি তাজ্জব করেছে বিজ্ঞানী এবং গবেষক মহলকে।
আরও পড়ুন- বাদল অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড শান্তনু সেন, তুমুল বিক্ষোভ তৃণমূলের
বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জানান হয়েছে, মূলত চারটি কারণে বিশ্বের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কমছে না। এর মধ্যে সবথেকে চিন্তার বিষয় হল ডেল্টা প্রজাতির সংক্রমণ বৃদ্ধি। এর পরে রয়েছে মানুষের ও সচেতন মনোভাব এবং সামাজিকভাবে মিলে মিশে যাওয়া আগের মত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বৈজ্ঞানিক সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, বিশ্বের একাধিক দেশে লকডাউন সিদ্ধান্ত শিথিল করে দেওয়া এবং সর্বশেষে টিকাকরণের গতি কমে যাওয়া করোনাভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রধাণত, এই চারটি কারণের জন্যই গোটা বিশ্বের ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।