নয়াদিল্লি: ঠিক এক বছরের মধ্যেই ফের একবার আগের মত আতঙ্ক দেখাতে শুরু করে দিয়েছে করোনাভাইরাস। চলতি বছরের শুরুর দিকে কিঞ্চিৎ সংক্রমণ কম হলেও ফের একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে আক্রান্তের সংখ্যা। এবার সকলের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে ইতিমধ্যেই খবর মিলছে যে দেশের ১৮ রাজ্যে ইতিমধ্যেই করোনার নতুন অবতারের সন্ধান মিলেছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, এই নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জন্য দেশের সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে কিনা সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট হওয়া না গেলেও নতুনভাবে সংক্রমণ নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তা বেড়েছে সকলের। এর পাশাপাশি এখনও এই ব্যাপারে স্পষ্ট হওয়া যাচ্ছে না যে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন আদৌ এই নতুন প্রজাতির ভাইরাসে কাজ করবে কিনা।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যে নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের সন্ধান মিলেছে এতগুলি রাজ্যে সেগুলি কমপক্ষে দু’বার নিজের মিউটেশন করে, অর্থাৎ দুবার নিজেকে পরিবর্তন করতে পারে এই ভাইরাস। অর্থাৎ ব্রিটেন থেকে শুরু করে ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার যে নতুন প্রজাতির ভাইরাস ধরা পড়েছে দেশে, তার থেকে এর প্রকারভেদ আলাদা। সুতরাং অবশ্য ভাবে চিন্তার কারণ রয়েছে তারা কখনই অস্বীকার করা যায় না। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সাধারণ দেশবাসীর মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়ে গিয়েছে যে আবার লকডাউন কার্যকরী হবে কিনা। যদিও লকডাউন কার্যকরী হওয়া নিয়ে এখনো পর্যন্ত প্রত্যক্ষভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি সরকার। তবে নিষেধাজ্ঞা মানার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের মতো রাজ্য সরকারও এখনই পূর্ণ লকডাউনে যাচ্ছে না। তবে দোল খেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে বলে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর পাশাপাশি করোনাভাইরাস নিয়ম বিধি মানা এবং জনসমক্ষে মাস্ক ব্যবহার করা আগের মতোই আবশ্যক বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।
আরও পড়ুন: শেষ ২৪ ঘন্টায় সংক্রামিত প্রায় ৫০,০০০! হুঙ্কার করোনার
আর কয়েকদিন পরেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন শুরু। এর মধ্যে অবশ্য ভাবে লকডাউন কার্যকরী সম্ভব হবে না সেটা স্পষ্ট ভাবে বলা যায়। কিন্তু সাধারন মানুষ যাতে সচেতন থাকেন এবং স্যানিটাইজার, মাস্ক আগের মত ব্যবহার করেন, তার দিকে নজর দিতে বলা হচ্ছে। একইসঙ্গে নির্বাচনের সময় পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা উল্লেখ করা হচ্ছে বিশেষভাবে। প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫০,০০০ জন। সঠিক অংকে বলতে গেলে ৪৭,২৬২ জন। গতকালের থেকে প্রায় ৭ হাজার জন বেশি আক্রান্ত হয়েছেন এদিনই। সেই তুলনায় বেড়েছে মৃত্যুর হারও। একই সময় মৃত্যু হয়েছে ২৭৫ জনের।