কোভিড পরবর্তী সমস্যা কাটাতে পারে ভ্যাকসিন? কী বলছে গবেষণা

কোভিড পরবর্তী সমস্যা কাটাতে পারে ভ্যাকসিন? কী বলছে গবেষণা

নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সাধারণ মানুষের আতঙ্ক তো আছেই, এর পাশাপাশি আরও একটা বিষয় চিন্তার, সেটা হল সংক্রমণ পরবর্তী সমস্যা। অনেকেই রয়েছেন যারা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে তো মুক্তি পেয়েছেন কিন্তু পরবর্তী বেশ কয়েক সপ্তাহ শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। কোভিড পরবর্তী সমস্যা সংক্রমিত রোগীদের অন্যতম বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে কারণ, সংক্রমণ থেকে সেরে উঠলেও শারীরিক সমস্যা থেকে যাচ্ছে অনেকদিন। তবে গবেষকদের একাংশ মনে করছে যে, করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন এই সমস্যা কাটিয়ে দিতে পারে তাড়াতাড়ি।

ব্রিটেনের এক গবেষণা থেকে উঠে আসছে, যে সমস্ত রোগীরা করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নেননি তাদের থেকে যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের পোস্ট কোভিড সমস্যা তুলনামূলক কম দিন স্থায়ী হচ্ছে। অর্থাৎ যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তারা অনেক তাড়াতাড়ি কোভিড পরবর্তী সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন। যদিও এখনো এই বিষয় নিয়ে গবেষনা জারি রয়েছে তাই চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ এখনই করা সম্ভব নয় তবে মনে করা হচ্ছে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন অবশ্যই কোভিড পরবর্তী সমস্যা কমাতে সাহায্য করছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হলে যে সমস্ত লক্ষণ ধরা পরে ঠিক একই রকমের লক্ষণ সংক্রমণ থেকে মুক্তির পরেও কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস চলতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে সংক্রমণ থেকে সেরে উঠলেও অনেক রোগীকে আবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে এই সংক্রমণ পরবর্তী শারীরিক সমস্যার জন্য। তাই ভ্যাকসিন যদি সেই সমস্যা তাড়াতাড়ি কাটিয়ে তুলতে পারে তাহলে এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না। আপাতত এই বিষয় নিয়ে আরো গবেষণা চলছে।

আরও পড়ুন- ভুয়ো টিকাকাণ্ডে ‘শিক্ষিত’দের উপরেই দায় চাপালেন অতীন ঘোষ

মূলত সবথেকে স্বাভাবিক করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরবর্তী উপসর্গ হতে পারে, কাশি, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্টের সমস্যা, বুকে এবং গা, হাত, পায় ব্যথা, স্বাদ এবং গন্ধ না থাকা। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গের থেকে সংক্রমণের পরবর্তী ক্ষেত্রের উপসর্গের খুব একটা অমিল থাকছে না। তাই অবশ্যই পাবে এই বিষয়টি চিন্তার কারণ। তবে এখানে আরো একটি বিষয় ভেবে দেখার রয়েছে, যারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছেন তারা সেরে ওঠার তিন মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন পাবেন না। নিয়ম অনুযায়ী তারা এই সময়ের পর ভ্যাকসিন পেতে পারেন। তাই সেইসব রোগীদের যদি পোস্ট কোভিড সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই তাদের আরো বেশি করে সতর্ক থাকা উচিত এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 2 =