কলকাতা: কসবায় ভুয়ো টিকাকরণ নিয়ে উত্তাল রাজ্য৷ তবে এই ভুয়ো টিকাকাণ্ডে শিক্ষিতদের উপরেই দায় চাপালেন স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতীন ঘোষ৷ রেজিস্ট্রেশন না করিয়ে কীসের ভিত্তিতে ভ্যাকসিন নিলেন গ্রহীতারা? প্রশ্ন তুললেন তিনি৷
আরও পড়ুন- লাগবে না গ্যারান্টার, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডে মিলবে ১০ লক্ষ টাকা, অনুমোদন মন্ত্রিসভায়
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অতীন ঘোষ বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ তো বটেই এমনকী যাঁদের শিক্ষা অতি নগন্য, তাঁরাও জানেন ভ্যাকসিন নিতে গেলে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করাতে হয়৷ এর জন্য প্রয়োজন আধারকার্ড, প্যান কার্ড কিংবা ভোটার আইডি কার্ড৷ পরিচয় পত্র দিতে আগে রেজিস্ট্রেশন করাতে হয়৷ রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে ভ্যাকসিন নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে মেসেজ আসে৷ যাঁরা ওই প্রতারকের আয়োজিত ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প থেকে টিকা নিয়েছেন তাঁরা শহরের শিক্ষিত মানুষ৷ এমনকী সিটি কলেজের প্রফেসার, প্রিন্সিপাল থেকে ছাত্ররা সকলেই ভুয়ো কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন৷ কসবায় যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁরাও সকলে শিক্ষিত৷ অথচ এই শিক্ষিত মানুষরা টিকা নেওয়ার পর যখন দীর্ঘদিন মেসেজ বা সার্টিফিকেট পেলেন না, তখন চুপ করে থাকলেন৷ কোনও অথরিটির কাছে অভিযোগ জানলেন না৷ অথচ সব দায় এখন কলকাতা পুরসভার উপর চাপানো হচ্ছে৷
আরও পড়ুন- কার কত শক্তি দেখা যাবে, পিএসিতে মুকুলকে সমর্থন করব! স্পষ্ট জানালেন মমতা
তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য সরকার থেকে পুরসভা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির বাইরে কোনও চতুর্থ ব্যক্তি নেই যাঁরা ভ্যাকসিন দিতে পারেন৷ জুন মাসে কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যাকসিন নীতির পরিবর্তন করে এবং জানানো হয় কেন্দ্রই ৭৫ শতাংশ টিকা রাজ্যকে দেবে৷ রাজ্য সরাসরি টিকা কিনতে পারবে না৷ ২৫ শতাংশ টিকা কিনবে বেসরকারি হাসপাতালগুলি৷ এর মধ্যে চতুর্থ কোনও ব্যক্তি নেই যাঁরা ভ্যাকসিন কিনতে পারবেন বা দিতে পারবেন৷ মিমি চক্রবর্তী ওই কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন বলেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে৷