শহিদ পরিবারের কাঁধে বন্দুক রেখে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন মমতা, তোপ যোগীর

শহিদ পরিবারের কাঁধে বন্দুক রেখে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন মমতা, তোপ যোগীর

নন্দীগ্রাম:  নন্দীগ্রাম জয়ে গুরুবারে গেরুয়া শিবিরের ধারালো অস্ত্র যোগী আদিত্যনাথ৷ ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামের ব্যাটেলগ্রাউন্ডে শুভেন্দু-মমতার দ্বৈরথের আগে প্রচারের ঝড় তুলতে রাজ্যে এসেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী৷ এদিন সাগর, চন্দ্রকোণার সভা সেরে তাঁর ফাইনাল ডেস্টিনেশন নন্দীগ্রাম৷ তেখালি বাজার ময়দান থেকে শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে গলা ফাটালেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন-  ‘পা ভেঙেছে নন্দীগ্রামে!’, অপমানের থিওরিতেই মমতা বিরোধী অস্ত্রে শুভেন্দুর

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, বাংলার মাটি সবসময়ই আমাদের প্রেরণা জুগিয়ে এসেছে৷ কিন্তু প্রথমে কংগ্রেস, বামেদের কুটিলতা আর পরে তৃণমূল কংগ্রেসের গুণ্ডাগিরির জন্য আজ অব্যবস্থা, অরজকতা চলছে৷ ১০ বছরে রাজ্যে কোনও উদ্যোগ তো হয়ইনি৷ উল্টে চালু শিল্পও বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ এটাই বাংলার ভাগ্যে পরিণত হয়েছে৷ বাংলাকে এই অরজকতার হাত থেকে মুক্ত করতে পারে একমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টি৷ আর এর জন্য বাংলায় পরিবর্তনের মেলায় আপনাদের সককে আহ্বান জানাতে এসেছি৷ 

তিনি আরও বলেন, পেট্রোলিয়াম আর প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ২০১৬ সালে প্রত্যেক গরিব নাগরিকের ঘরে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার অভিযান শুরু করেছিলেন৷ উত্তরপ্রদেশে ১ কোটি ৫৬ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে৷ কিন্তু বাংলার তৃণমূল সরকার সেই প্রকল্প লাগু করেনি৷ ১০ বছর তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় এখানকার গরিব মানুষ ঘর পায়নি৷ বাংলার মানুষ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত৷ তাঁরা কিষাণ সম্মান নিধিও পাননি৷ কিন্তু কেন তাঁদের বঞ্চিত করা হল? এর জবাব দিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷  

আদিত্যনাথ জানান, উত্তর প্রদেশে কোটি কোটি যুবকের রোজগারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে৷ তাঁদের সরকারি চাকরি দেওয়া হচ্ছে৷ কিন্তু বাংলায় চাকরিও নেই৷ রোজগারও নেই৷ এখানে হাইওয়ে, রেলওয়ে, মেডিক্যাল কলেজ নেই৷ কারণ দিদির উন্নয়নের প্রতি কোনও নজরই নেই৷ উনি শুধু চান জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে নিষিদ্ধ করতে৷ কিন্তু এবার ওঁনার কাছে দশ বছরের কাজের হিসাবে চাওয়ার সময় এসে গিয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- যারা ভোট মেশিন পাহারা দেবেন তারা সুখবর পাবেন! আবারও প্রতিশ্রুতি মমতার

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সোনার বাংলা গড়ার এক অভিযান শুরু করেছেন৷ এই অভিযানে আমাদের সকলকে সামিল হতে হবে৷  ১৪ বছর আগে বামপন্থীরা নন্দীগ্রামে যে হিংসার পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল তা কারও অজানা নয়৷ বাংলার জন্য শহিদ হয়েছিলেন এখানকার মানুষ৷ সেই শহিদ পরিবারের কাঁধে বন্দুক রেখেই ক্ষমতায় এসেছেন মমতা দিদি৷ কিন্তু উনি সেই শহিদ পরিবারের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি৷ ওঁনার বাংলার বিকাশের কোনও চিন্তা নেই৷ যুবকের রোজগারের চিন্তা নেই, কৃষক, মা বোনেদের জন্য চিন্তা নেই৷ ওঁনার চিন্তা অনুপ্রবেশকারীদের কী ভাবে আশ্রয় দেওয়া যায় তা নিয়ে৷ বাংলায় উনি গোহত্যাও বন্ধ করতে পারবেন না৷ কারণ উনি ভোটব্যাঙ্কের ভয় পান৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *