নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেই বাঁ পায়ে চোট পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার দিন থেকেই তিনি এবং তাঁর দল দাবি করেছেন ভোটের আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁকে আঘাত করা হয়েছে। সপ্তাহ দুয়েক ধরে এই নিয়ে জারি রয়েছে নানা তরজা। এদিন নন্দীগ্রামের জনসভা থেকে এই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই তৃণমূল নেত্রীকে ফের তীব্র আক্রমণে বিঁধলেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী।
নন্দীগ্রামের মানুষ আঘাত করে পা ভেঙে দিয়েছে, একথা প্রমাণ করতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, এদিন দলীয় জনসভা থেকে এমনটাই মন্তব্য করেছেন ঘাসফুল শিবিরের প্রাক্তন নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই তিনি বলছেন নন্দীগ্রামের লোক আমাকে আক্রমণ করেছে। আমরা দাবি করি সেই লোকগুলো কে, তার নাম প্রকাশ আপনাকে করতে হবে।” নন্দীগ্রামের মানুষকে প্রতিদিন এভাবে অপমান করার অধিকার নেই তৃণমূল সুপ্রিমোর, এদিন তাও জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
এখানেই শেষ নয়, বৃহস্পতিবারের সভা থেকে নন্দীগ্রামের গেরুয়া প্রার্থী আরো বলেন, “উনি বলছেন, সিপিএম আমার মাথায় মেরেছে, সিপিএম আমার কোমরে মেরেছে, আর নন্দীগ্রাম আমার পা ভেঙে দিয়েছে।” নন্দীগ্রামের মানুষের এহেন অপমানের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার ডাকও দিয়েছেন তিনি। এদিন শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে নন্দীগ্রামের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁদের উপস্থিতিতে নিজের প্রাক্তন দলনেত্রীকে ‘অহংকারী’, ‘দাম্ভিক’ ক্ষমতার শীর্ষে থাকা প্রশাসনিক কর্ত্রী বলেও অভিহিত করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
উল্লেখ্য, পায়ে চোট পাওয়ার পর থেকে হুইলচেয়ারে চেপেই জেলা সফর চালাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই চোটকে বরাবরই ভোটের আগে সহানুভূতি আদায়ের ‘নাটক’ বলে অভিহিত করে এসেছে গেরুয়া শিবির। এদিন আরো একবার সেই অস্ত্রেই শান দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।