কলকাতা: ভোটের মুখে বিজেপি’র হয়ে প্রচারের ঝড় তুলতে ব্যাটন তুলে দেওয়া হল যোগী আদিত্যনাথের হাতে৷ আজ সাগরের জনসভা থেকে তৃণমূলকে শব্দ বাণে বিদ্ধ করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী৷ বেকারত্ব থেকে গুণ্ডারাজ, একাধিক ইস্যুতে তুলোধোনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে৷
আরও পড়ুন- মাছের তেলে মাছ ভেজেছে মিথ্যেবাদী মোদী সরকার, একহাত নিলেন মমতা
এগিন আদিত্যনাথ বলেন, বাংলা এক সময় সমৃদ্ধশালী রাজ্য ছিল৷ কিন্তু প্রথমে কংগ্রেস, তারপর সিপিএম আর এখন তৃণমূল সরকার বাংলার অধঃপতন ডেকে এনেছে৷ এখানকার যুবকরা আজ বেকারত্বের যন্ত্রনা ভোগ করছে৷ বাংলায় উদ্যোগ নেই, রয়েছে তৃণমূলের ভ্রষ্টাচার৷ তৃণমূলের গুণ্ডারা চারিদিকে অরজকতা করছে৷ কদিন আগেও এখানে ফের বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে৷ তবে আর বেশি দিন নয়৷ আর মাত্র ৪০ দিন৷ পাশা বদলে যাবে৷ আর তার ৩৫ দিন পর থেকেই তৃণমূলের গুণ্ডাদের উল্টো গোনা শুরু হয়ে যাবে৷ কারণ বাংলায় তখন তৃণমূল সরকার নয়, ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার হবে৷ সব গুণ্ডাদের কোনা কোনা থেকে খুঁজে বার করে জেলে পোড়া হবে৷
তোপ দেগে বলেন, পশ্চিমবাংলায় তৃণমূল সরকার রোজগারের কোনও ব্যবস্থা করেনি৷ বেকাররা চাকরি পায়নি৷ বরং তোলাবাজি করে বিকাশের জন্য পাঠানো পয়সা লুঠ করে নেওয়া হয়েছে৷ আম্পানের সময় ১ হাজার কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ কিন্তু সেই টাকাও তৃণমূলের গুণ্ডারা কেড়ে নিয়েছে৷ আপনাদের কাছে সেই টাকা পৌঁছতেই দেওয়া হয়নি৷ মমতা দিদি ১০ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে আছেন৷ এই দশ বছরে কতজন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছেন? প্রশ্ন তাঁর৷ যোগী বলেন, উত্তর প্রদেশে ৪০ লক্ষ মানুষ বাড়ি পেয়েছে৷ সেখানে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প লাগু করা হয়ছে৷ কিন্তু কেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পেল না বাংলার মানুষ? জবাব দিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন- ‘আমি বিজেপি’র মতো ধান্দাবাজ, দাঙ্গাবাজ নই’, তোপ মমতার
তাঁর কথায়, মানুষের কল্যাণের প্রতি কোনও নজরই নেই তৃণমূল সরকারের৷ বিকাশের প্রতি মমতা দিদির কোনও রুচিই নেই৷ এখন তো দিদি গেরুয়া বসন দেখেও ভয় পাচ্ছেন৷ রামের নাম শুনে উনি রেগে যাচ্ছেন৷ উত্তরপ্রদেশেও একটা দল জয় শ্রীরাম ধ্বনি নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল কিন্তু উত্তরপ্রদেশের মানুষ ওই দলের কথাই বন্ধ করে দিয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, যখন কেন্দ্র ও রাজ্যে একই সরকার থাকে তখন তা ডবল ইঞ্জিনের কাজ করে৷ কেন্দ্রে মোদী আর রাজ্যের বিজেপি সরকার একসঙ্গে থাকলে এখানে বিকাশ হবে৷ বেকারদের চাকরি হবে৷ কৃষকরা অধিকার পাবে৷ মা-বোনেরা সম্মান পাবে৷