BJP ক্ষমতায় আসার ৩৫ দিনের মধ্যে ‘উল্টি গিনতি’ শুরু হয়ে যাবে TMC গুণ্ডাদের, হুঙ্কার যোগীর

BJP ক্ষমতায় আসার ৩৫ দিনের মধ্যে ‘উল্টি গিনতি’ শুরু হয়ে যাবে TMC গুণ্ডাদের, হুঙ্কার যোগীর

c2bd3d2c1aa6f5513524913af35f47b0

কলকাতা:  ভোটের মুখে বিজেপি’র হয়ে প্রচারের ঝড় তুলতে ব্যাটন তুলে দেওয়া হল যোগী আদিত্যনাথের হাতে৷ আজ সাগরের জনসভা থেকে তৃণমূলকে শব্দ বাণে বিদ্ধ করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী৷ বেকারত্ব থেকে গুণ্ডারাজ, একাধিক ইস্যুতে তুলোধোনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে৷ 

আরও পড়ুন-  মাছের তেলে মাছ ভেজেছে মিথ্যেবাদী মোদী সরকার, একহাত নিলেন মমতা

এগিন আদিত্যনাথ বলেন, বাংলা এক সময় সমৃদ্ধশালী রাজ্য ছিল৷ কিন্তু প্রথমে কংগ্রেস, তারপর সিপিএম আর এখন তৃণমূল সরকার বাংলার অধঃপতন ডেকে এনেছে৷ এখানকার যুবকরা আজ বেকারত্বের যন্ত্রনা ভোগ করছে৷ বাংলায় উদ্যোগ নেই, রয়েছে তৃণমূলের ভ্রষ্টাচার৷ তৃণমূলের গুণ্ডারা চারিদিকে অরজকতা করছে৷ কদিন আগেও এখানে ফের বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে৷ তবে আর বেশি দিন নয়৷ আর মাত্র ৪০ দিন৷ পাশা বদলে যাবে৷ আর তার ৩৫ দিন পর থেকেই তৃণমূলের গুণ্ডাদের উল্টো গোনা শুরু হয়ে যাবে৷ কারণ বাংলায় তখন তৃণমূল সরকার নয়, ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার হবে৷ সব গুণ্ডাদের কোনা কোনা থেকে খুঁজে বার করে জেলে পোড়া হবে৷ 

তোপ দেগে বলেন, পশ্চিমবাংলায় তৃণমূল সরকার রোজগারের কোনও ব্যবস্থা করেনি৷ বেকাররা চাকরি পায়নি৷ বরং তোলাবাজি করে বিকাশের জন্য পাঠানো পয়সা লুঠ করে নেওয়া হয়েছে৷ আম্পানের সময় ১ হাজার কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ কিন্তু সেই টাকাও তৃণমূলের গুণ্ডারা কেড়ে নিয়েছে৷ আপনাদের কাছে সেই টাকা পৌঁছতেই দেওয়া হয়নি৷ মমতা দিদি ১০ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে আছেন৷ এই দশ বছরে কতজন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছেন? প্রশ্ন তাঁর৷ যোগী বলেন, উত্তর প্রদেশে ৪০ লক্ষ মানুষ বাড়ি পেয়েছে৷ সেখানে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প লাগু করা হয়ছে৷ কিন্তু কেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পেল না বাংলার মানুষ? জবাব দিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 

আরও পড়ুন- ‘আমি বিজেপি’র মতো ধান্দাবাজ, দাঙ্গাবাজ নই’, তোপ মমতার

তাঁর কথায়, মানুষের কল্যাণের প্রতি কোনও নজরই নেই তৃণমূল সরকারের৷ বিকাশের প্রতি মমতা দিদির কোনও রুচিই নেই৷ এখন তো দিদি গেরুয়া বসন দেখেও ভয় পাচ্ছেন৷ রামের নাম শুনে উনি রেগে যাচ্ছেন৷ উত্তরপ্রদেশেও একটা দল জয় শ্রীরাম ধ্বনি নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল কিন্তু উত্তরপ্রদেশের মানুষ ওই দলের কথাই বন্ধ করে দিয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, যখন কেন্দ্র ও রাজ্যে একই সরকার থাকে তখন তা ডবল ইঞ্জিনের কাজ করে৷ কেন্দ্রে মোদী আর রাজ্যের বিজেপি সরকার একসঙ্গে থাকলে এখানে বিকাশ হবে৷ বেকারদের চাকরি হবে৷  কৃষকরা অধিকার পাবে৷ মা-বোনেরা সম্মান পাবে৷   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *