দেবীপক্ষে নারী শক্তিতেই আস্থা, চিন সীমান্তে তেজ দেখাবেন ‘তেজস্বী’রা

দেবীপক্ষে নারী শক্তিতেই আস্থা, চিন সীমান্তে তেজ দেখাবেন ‘তেজস্বী’রা

নয়াদিল্লি:  প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ক্রমাগত ড্রাগনের উষ্ণ নিঃশ্বাস৷ লাল ফৌজের আস্ফালন৷ চিনা বাহিনীকে পাল্টা দিতে এবার চিন সীমান্ত দেখবে ‘তেজস্বী’র তেজ। সীমান্ত পাহারায় এবার মোতায়েন ভারতীয় সেনার নারীবাহিনী। যুদ্ধবিমান ওড়াবেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তেজস্বী ও তাঁর দুই সহকর্মী। 

আরও পড়ুন-বর্ষা নিয়ে বড় তথ্য দিল আইএমডি, বিদায় কি আসন্ন

সুখোই বিমানে মহড়ার পর অসমের তেজপুর বিমানঘাঁটিতে নামেন ত্রয়ী৷ তাঁদের কথায়, ‘‘পূর্ব ভারত থেকে আকাশপথে চিনের উপর নজরদারি চালানো আমাদের স্বপ্ন। আমাদের বিমান চালকরা যে কোনওরকম আক্রমণ প্রতিহত করতে প্রস্তুত।”

ভারতের উত্তর-পশ্চিমে পাকিস্তান আর উত্তর-পূর্বে রয়েছে চিন৷ এই দুই প্রতিবেশীর উপর সর্বদাই কড়া নজর রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর৷ বিশেষ করে লাদাখ সীমান্তে যে উত্তেজনা রয়েছে, তাতে চিনের উপর বাড়তি নজর রয়েছে সেনাবাহিনীর। এই গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে লালফৌজের মোকাবিলায় নারীবাহিনীর উপর আস্থা রাখল ভারতীয় সেনা। অতি সম্প্রতি গোগরা স্প্রিং এলাকা থেকে সরে গিয়েছে দু’দেশেরই বাড়তি বাহিনী। কিন্তু কূটনৈতিক দিক থেকে সতর্ক রয়েছে ভারত। আর দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে ভরসা যোগাচ্ছেন তেজস্বীরা৷ 

ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তেজস্বী এবং তাঁর দুই সঙ্গীকে দিয়েই নারী বাহিনীকে আকাশপথে যুদ্ধে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বায়ুসেনা৷ পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ উত্তীর্ণ হয়েছেন তিন মহিলা পাইলটই৷ মঙ্গলবার তেজপুরের বিমান ঘাঁটিতে গিয়ে সুখোই-৩০ বিমান নিয়ে চিন সীমান্ত ঘেঁষে চক্কর কাটলেন তাঁরা৷ জানা গিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে এই অঞ্চলে কিছু যুদ্ধাস্ত্র রাখা হবে। তা পরিদর্শন করতেই গিয়েছিলেন তেজস্বী ও তাঁর টিম। 

গুরু দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে তেজস্বী বলেন, ”ভারতীয় সেনাবাহিনীর যে কোনও ট্রেনিংই সবসময় চ্যালেঞ্জের। তা পুরুষের ক্ষেত্রেই হোক বা নারীর৷ কড়া চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়েই সকলকে যেতে হয়। আমাদের সমস্ত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়। পূর্ব সীমান্তে যে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীকে রুখতে আমরা প্রস্তুত।”